প্রশান্তি ডেক্স ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিল্টন হলে গত মঙ্গলবার আয়োজিত সভায় বক্তৃতা করেন বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা নিয়ে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত ৭৫ জন গর্ভবতী মায়ের মধ্যে ৬৯ জন সুস্থ সন্তান প্রসব করেছে। বর্তমানে ৯১ জন মা সেবার অধীনে আছে। গত মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিল্টন হলে বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, ১৯৮৯ সালে বিএসএমএমইউর ভাইরোলজি বিভাগ দেশের প্রথম এইচআইভি রোগী শনাক্ত করে। বর্তমানে তা অব্যাহত আছে। যদিও ২০১৩ সালের আগ পর্যন্ত সরকারি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত গর্ভবতী মায়েদের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল না। তবে ২০১৩ সালের ১৬ মে থেকে জাতীয় এইডস এসটিডি প্রোগ্রাম ও ইউনিসেফের সহযোগিতায় দেশে প্রথম বারের মত বিএসএমএমইউর অবস অ্যান্ড গাইনি বিভাগে এইচআইভি আক্রান্ত গর্ভবতী মায়েদের সেবা দান শুরু হয়। এ পর্যন্ত মোট ৯১ জন গর্ভবতী মা এই সেবার অধীনে আছেন। ২৯ হাজার ৮৯২ জন গর্ভবতী মাকে পরীক্ষার মাধ্যমে ৯১ জনের এইচআইভি পজেটিভ পাওয়া গেছে। এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত ৭৫ জন গর্ভবতী মা সন্তান প্রসব করেছেন। তাদের মধ্যে দেশে নতুন ৬৯ জন শিশুকে এইচআইভি সংক্রমণ থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। বাকি শিশুরা পরীক্ষার অপেক্ষায় আছে। এরই ধারাবাহিকতায় এইচআইভিতে আক্রান্ত রোগীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় সেবার পরিধি বৃদ্ধি করেছে। যা স্ট্রেনদেনিং অফ পিএমটিসিটি সার্ভিসেস নামে এই বছরে শুরু হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১৭ সালের অক্টোবর মাস থেকে বিএসএমএমইউতে এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিনামূল্যে এআরভি প্রদান ও সব রোগের যথাযথ চিকিৎসা সেবার পথ উন্মুক্ত হয়েছে। ফলে দেশের সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী বিশ্ববিদ্যালয় হতে এআরভি পাচ্ছেন। চলতি বছরের গত ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ১ হাজার ২৫৯ জন রোগী এআরভি নিয়েছেন। তাছাড়া বাংলাদেশে এইচআইভিতে আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিএসএমএমইউ প্রথম ও প্রধান পোস্টগ্র্যাজুয়েট বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে বিভিন্ন বিভাগের মাধ্যমে রোগীদের কম্প্রিহেনসিভ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এখন এইচআইভিতে আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয়ে সংশ্লিষ্ট সব মানুষকে দ্রম্নত পরীক্ষা-নিরীক্ষার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এইডস আক্রান্তদের মৃত্যুহার শূন্যের কোটায় নিয়ে আসতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
Share on Facebook
Follow on Facebook
Add to Google+
Connect on Linked in
Subscribe by Email
Print This Post