প্রশান্তি ডেক্স ॥ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীর উত্তম) বলেছেন, দেশ স্বাধীনের ৪৮ বছর হলো। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে যে বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি, সেদেশের মানুষ আজ স্বাধীনতার ফসল কতটুকু ভোগ করছে? দীর্ঘ এই সময়ে সব নাগরিকের মৌলিক ও মানবিক অধিকার নিশ্চিত হওয়ার কথা। কিন্তু তার কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে? দেশের মানুষ এখন স্বাধীন মত প্রকাশে শঙ্কা বোধ করে। তাদের মতামত বিরুদ্ধে গেলেই শাসকগোষ্ঠী রুষ্ট। গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে গাইবান্ধা পৌর শহীদ মিনার চত্বরে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের জেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, স্বাধীনতার পর আমরা স্বপ্ন দেখলাম- এবার প্রতিষ্ঠিত হবে প্রকৃত গণতন্ত্র, শোষণহীন, দুর্নীতি ও বৈষম্যমুক্ত এক অসাম্প্রদায়িক দেশ। সাম্য, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, যা ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান অঙ্গীকার। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জাতীয়, আন্তর্জাতিক চক্রান্ত ও ব্যর্থ নেতৃত্বের কারণে স্বাধীনতার এত বছর পরও আমাদের স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেছে। বাস্তবায়িত হয়নি জনগণের প্রত্যাশা। লাগামহীন দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতি, খুন-ধর্ষণ, ক্ষমতাসীনদের পৃষ্ঠপোষকতায় সীমাহীন সন্ত্রাস, অধিকাংশ রাজনৈতিক নেতা ও দলের চরম ব্যর্থতা, সর্বোপরি অসৎ আমলাদের দুর্নীতির কারণে আজ গোটা জাতি জিম্মি হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, মানুষের অন্তরের প্রত্যাশাকে যৌক্তিক ও নৈতিকভাবে ধারণ করার একমাত্র রাজনৈতিক শক্তি ‘কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ’। এ ব্যাপারে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান বঙ্গবীর। সেই সঙ্গে সংগঠনকে শক্তিশালী করে জনগণের দাবি আদায়ে আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য নেতাকর্মীদের গুরুত্বারোপ করেন তিনি। দলের জেলা সভাপতি ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক মোস্তফা মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন- কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার প্রমুখ।