ভজন শংকর আচার্য্য,কসবা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার পৌর এলাকার কাঞ্চনমূড়ী এলাকা থেকে নিখোঁজের ৪দিন পর পরিত্যক্ত একটি সেফটি ট্যাংক থেকে সাইদুর রহমান (২০) নামে এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের দাবী তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে সেফটি ট্যাংকে ফেলে গেছে ঘাতকরা। নিহত সাইদুর কাঞ্চনমুড়ি গ্রামের মো.হুমায়ুন কবিরের ছেলে। সে পেশায় একজন সিএনজি চালক। এ ঘটনায় তার পরিবারে চলছে শোকের মাতম। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.আলমগীর হোসেন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতীপ্রাপ্ত কসবা সার্কেলের পুলিশ সুপার আবদুল করিম।
পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, গত রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মাহফিলে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় সাইদুর। পরে রাত সাড়ে ৮টা পর থেকে তার মোবাইলে যোগাযোগ করতে পারেনি পরিবারের লোকজন। সে থেকে নিখোঁজ হয় সাইদুর । তাকে খুঁজে না পেয়ে কসবা থানায় সাধারন ডাইরী করেন তার পরিবার। বৃহস্পতিবার সকালে কাঞ্চনমুড়ি এলাকার পরিত্যাক্ত একটি টয়লেটের সেফটি ট্যাংকে তার লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই এলাকায় মানুষের ঢল নামে। সাইদুরের লাশ উদ্ধারের পর তার স্বজনদের আহাজরিতে ভারী হয়ে এলাকার পরিবেশ।
নিহতের বাবা হুমায়ুন কবির সাংবাদিকদের জানান, গত রোববার রাতে নিখোজ হওয়ার পর বাড়ির লোকজন তাকে জানায় । পরদিন বাড়িতে এসে বহু খোঁজাখোঁজি করি। কোথাও খুজে পাইনি আমার ছেলেকে। নিখোজ হওয়ার পর থেকে তার মা পাগলের মতো হয়ে যায়। খুজে না পেয়ে গত ৩১ ডিসেম্বর থানায় সাধারন ডাইরী করি। বাড়ির লোকজন সারা এলাকায় তন্নতন্ন করে খুজেও কোথাও পাওয়া যায়নি আমার ছেলেকে। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় কিছু লোকজন খবর পাঠায় যে সাইদুরের লাশ পাওয়া গেছে এলাকার পরিত্যাক্ত টয়লেটের সেফটি ট্যাংকে । খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করার পর দেখতে পাই আমার ছেলের গলা কাটা লাশ। কান্নাজড়িত গলায় নিহতের বাবা বলেন; আমি সরকারের কাছে আমার ছেলের হত্যাকারীদের কঠোর শাস্তি দাবী করি। পরে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, আমরা সাইদুর হত্যাকান্ডের বিষযটি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষিদের খুজে বের করে অচিরেই আইনের আওতায় আনা হবে।