প্রশান্তি ডেক্স ॥ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল যেন সমালোচনামূলক কাজ তৈরীর আতুড়ঘর। কিছুদিন আগেই ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের টেন্ডার ভাগবাটোয়ারা করে সমালোচনায় পড়ে কর্তৃপক্ষ। আজ আবারো সমালোচনার জন্ম দিয়েছে কর্তৃপক্ষ । প্রশাসনের নিষেধ উপেক্ষা করে ও রোগীদের দুর্ভোগ সৃষ্টি করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে কনসার্টের আয়োজন করা হয়। গত মঙ্গলবার রাতে বছরের শেষ দিন উদযাপন করতে হাসপাতালের ভেতরে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট ও পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। যেখানে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা-২০০৬ অনুযায়ী, নীরব এলাকা হিসেবে হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত বা একই জাতীয় অন্য প্রতিষ্ঠান এবং এর চারিদিকে ১০০ মিটার পর্যন্ত বিস্তত এলাকাকে বোঝানো হয়েছে ‘নীরব এলাকা’। চলাচলের সময় সেখানে যানবাহনে কোনও হর্ন বাজানো যাবে না। সেখানে লাউড স্পিকারে গান আর আতশ ফুটিয়েছে খোদ কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন মো. শাহ আলম, বিএমএ নেতা ডা: আবু সাঈদ ও হাসপাতালের তত্বাবধায়ক শওকত হোসেন। এর আয়োজন করেন ঔষধ কোম্পানি হেলথকেয়ার। এতে অংশগ্রহণ করে হাসপাতালের চিকিৎসকরা। এই আয়োজনে গান বাজনা করতে স্টেজ বানানো হয় বহিঃবিভাগের গেটের সিঁড়িকে। এতে বিকট শব্দে চরম দুর্ভোগের শিকার হয় হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীরা। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শওকত হোসেন বলেন, চিকিৎসকরাও মানুষ। তাদেরও রিফ্রেশমেন্টের দরকার আছে। তাই অনুষ্ঠানে সবাই অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু আমি জানতাম না এই রকম করে গানের আয়োজন করা হয়েছিল।