ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা টি.আলী কলেজের সাবেক সভাপতি সাদেক আলীকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করেছেন শিক্ষক পরিষদ। গত সোমবার ( ৬ জানুয়ারি) দুপুরে কলেজ মিলনায়তনে শিক্ষক পরিষদের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন করে তাকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করে তিন দিনের বিভিন্ন কর্মসূচী ঘোষনা করেছেন। এর আগে গত রোববার ৫ জানুয়ারি একই দাবীতে শিক্ষক ও কর্মচারীরা কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইন মন্ত্রী আনিসুল হক এবং কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল কাউছার ভূইয়া জীবনের কাছেও স্মারকলিপি দিয়েছেন।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, জালিয়াতির মাধ্যমে সভাপতি হওয়া সাদেক আলীকে গত বছরের ২৮ নভেম্বর ৪৫৯৫৪ নং স্বারকের আদেশে উল্লেখ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্নিং বডি গঠন সংক্রান্ত সংশোধন সংবিধি ২০১৯ এর ৭ নং ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কসবা টি.আলী কলেজের এডহক কমিটির বর্তমান সভাপতি সাদেক আলী এর পরিবর্তে আগামী ১৯ এপ্রিল ২০২০ মেয়াদ পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। সেই আদেশটি বাতিল করে পুনরায় সভাপতি হওয়ার চেষ্টা করছেন সাদেক আলী। এতে করে ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। গত সোমবার ৬ জানুয়ারি দুপুরে কলেজ শিক্ষক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর ওসমান ভূইয়া। তিনি লিখিত বক্তব্যে মাধ্যমে সাদেক আলীকে কলেজে অবাঞ্চিত ঘোষনা করেন এবং তিনদিনের কর্মসূচী ঘোষনা করেন। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) মানববন্ধন কর্মসূচী, বুধবার ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাববককদের গণস্বাক্ষর ও বৃহস্পতিবার কলেজ মিলনাতয়নে প্রতিবাদ সভা এবং ওই সভায় পরবর্তী আরো কর্মসূচী করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সাদেক আলীর সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে কলেজের স্বার্থের পরিপন্থী কার্যকলাপ করে আসছিলেন। সাবেক অধ্যক্ষের যোগসাজসে কলেজের বিপুল পরিমান অর্থ লোপাট হয়েছে। যাহা অভ্যন্তরীন অডিট কমিটির প্রতিবেদনে প্রতিয়মান হয়েছে। এতে করে কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীদের প্রায় ১২ বছরের বেতন বকেয়া । সম্প্রতি সাদেক আলী কে পরিবর্তন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতির দায়িত্ব প্রদান করায় বিগত দেড় বছরে কলেজের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটেছে। তিনি বলেন, সম্প্রতি কলেজের শিক্ষকরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জানতে পেরেছেন আবারও সাবেক সভাপতি সাদেক আলী কলেজের বর্তমান এডহক কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করার জন্য পায়তারা করছেন। এতে শিক্ষকদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। সে যাতে পুনরায় এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হতে না পারে সেই জন্য সংবাদ সম্মেলন সহ বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করেছেন অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক পরিষদ।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ উল আলম বলেন, কলেজটিতে একটি শিক্ষার পরিবেশ ফিরে এসেছিল। কমিটি নিয়ে মামলা মোকদ্দমা থাকলে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুস্থ শিক্ষার পরিবেশ থাকে না। তিনি বলেন, শিক্ষকদের একটি স্মারকলিপি পেয়েছি। এটি মন্ত্রী মহোদয়কে পাঠানো হবে।