আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটের চেয়ে প্রচারের জনপ্রিয়তা এবং গুরুত্ব ও আস্ফালন বেশী। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগকে চিনতে পারছে না এবং ভোটের মাঠে ঘরের শত্রু ভিভিষণ এর স্বীকারে পরিণত হওয়ার উপক্রমে। সময় ও সুযোগ থাকতে যেন কোন রকম রিক্স বা এক্সপেরিমেন্ট করতে যাওয়া না হয় সেদিকে লক্ষ্য দেয়া জরুরী। দল হিসেবে আওয়ামী লীগ এবং সরকার হিসেচে আওয়ামী লীগ একেবারেই ইতিহাসের পাতায় পাতায় লিপিবদ্ধ এক ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত। তবে দল এবং সরকার বলতে জনগন এমনকি পৃথিবীর সকলকিছুই জানে শুধু শেখ হাসিনাকে। একবাক্যে সকলেই বলে শেখ হাসিনা। আর তিনিই একমাত্র তাঁর বিকল্প। বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর পরে তাকে ছাপিয়ে যাওয়ার একমাত্র ব্যক্তি যিনি তিনি হলেই তাঁরই ঔরসজাত সন্তান আদররের ধন শেখ হাসিনা। তাই গর্ব করার এবং গর্ব করানোর যথেষ্ট কার্যকর কতিপয় কারণ রয়েছে।
আসন্ন নির্বাচনে দল মত নির্বিশেষে যে জোয়ার উঠার কথা তা এখনও পরিলক্ষিত হয়নি। তবে ভোটারের নিরবতা এবং দলীয় ষঢ়যন্ত্রই প্রতিফলিত হয়েছে। তাই যে দলই আপনার কিন্তু ষড়যন্ত্র আপনাকে ছাড়ছে না। বেশী করে সরকার দলীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এই দলীয় ষড়যন্ত্র অতি গোপনে প্রবল আকার ধারণ করেছে। বিশেষ তথ্যে ও অতি গোপনে এই অনুসন্ধানী সত্যটুকু আবিস্কার হয়েছে আমাদের কাছে। প্রত্যেকটি ভোটার এবং স্থানীয় নের্তৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলেই আমাদের এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এখনও সময় রয়েছে, পরিবর্তন সাধিত করার। তাই যার যার অবস্থান থেকে ভোটার এবং কর্মী ও নের্তৃবৃন্দের যোগসূত্রতা তৈরীকে কাজ করুন। এক মন ও এক এবং অভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়ে যান। তাহলেই ষড়যন্ত্র লাঘব হবে এবং বিজয় সুনিশ্চিত হবে।
কথিত রয়েছে যে, নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ এবং সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলনই হবে নির্বাচন কমিশনের কাজ। এই কথার রটনা এবং বাস্তবতার বাইরে এসেও নির্বাচন কমিশনকে নিজেদের ভাবমুর্তি নতুন বছরে নতুন ভাবে প্রস্ফুটিত করা জরুরী। আগামীর নির্বাচন এবং নির্বাচনী ব্যবস্থার উপর দল-মত নির্বিশেষে সকলের সার্বিক আস্থার জায়গাটুকু তৈরী হউক এই সিটি নির্বাচন দিয়েই। দেশ বিদেশে যতকথা বা অনুযোগ ও অভিযোগ রয়েছে এই কমিশন ও নির্বাচনী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে তার জলন্ত প্রমানে অবসান ঘটুক এই ত্রিশ তারিখেই। পাশাপাশি সরকারের কথা এবং কাজের গুরুত্ব আরো বৃদ্ধি পাক আগামী ত্রিশ তারিখের নির্বাচনী ব্যবস্তার স্বচ্ছতার মাধ্যমে। এটাই এখন দলীয় এবং সাধারণ মানুষের চাওয়া পাওয়া। দলকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন আরো বহুদূর যাবে এবং দেশকে নিয়ে বুনা উন্নয়ন বাস্তবতা আরো এগিয়ে যাবে এটাই সকলের চাওয়া পওয়া।
তবে নির্বাচনী রেওয়াজের বাইরে গিয়ে এখন এক সভ্যতার নতুন রেওয়াজ জাগ্রত হচ্ছে। তাকে সাধুবাদ জানাতে কারো কোন কৃপনতা বা কমতি নেই। নির্বাচনে ঘৃণ্য আর নেতিবাচকতা বিতারিত হয়েছে এবং তার দৃশ্যমানতা এখনও বহমান রয়েছে। এটাই হলো ডিজিটাল বাংলাদেশ, উন্নয়নশীল দেশ এবং বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে শেখ হাসিনার এগিয়ে নেয়ার শোখানো দৃষ্টান্ত। দলীয় সংকীর্ণতায় এখন আর মানুষ দানবে পরিণত হয়নি বরং সহংশীল ও সংবেদনশীল হয়ে ইতিবাচক মনোভাবের প্রচারণায় জাগ্রত। সমাজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং মানুষের নৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিকাশ এখানেও প্রতিফলিত হচ্ছে। তবে একে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এখনো যে সকল প্রতিবন্ধকতা রয়েছে সেগুলো দূর করার জন্য সরকার, রাজনৈতিক দল, সাধারণ মানুষের যোগসূত্র আরো বাড়াতে হবে। প্রশাসন এবং জনগণ এক কাতারে এসে রাষ্ট্রের সেবায় মনোনিবেশ করতে হবে।
বর্তমান নির্বাচনে জনগণের চাওয়া-পাওয়া কি তা বিবেচনা এনে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। নির্বাচন কমিশন অবশ্যই জনগুরুত্ব নিয়ে জনগণের ভাবনার ছাপ কাজে পরিণত করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। জনগণের কল্যাণের তরে জনগণের দেয়া দায়িত্ব পালন করতে হবে। জনঅসন্তোষ লাঘবে কাজ করতে হবে। অসন্তোষের বিষ বাস্প আর ছড়াতে দেয়ার সুযোগ করে দেয়া যাবে না বরং এর তেজক্রিয়তা নিস্তেজ করে সকলকে একযোগ্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে যেতে হবে। দেশের মালিক জনগণ, সরকার জনগণের জন্য, প্রশাসন জনগনের জন্য আর এই তিনের সমন্বয়েই হউক আমাদের আগামীর উন্নয়নের আগ্রযাত্রা। সরকার, প্রশাসন ও জনগনের মধ্যে যেন কোনরকম দুরত্ব তৈরী না হয় সেইদিকে নজর দেয়া এখন সকলেরই কাজ। কারণ এই তিনের সমন্বয়েই আমাদের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা এবং উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা স্থায়ীকরণের সূতিকাঘর হবে। নিশ্চিত জীবন-যাপনের নিশ্চয়তা এবং মৌলিক চাহিদার নিশ্চয়তা ও স্থিতিশীলতার নিবিঘœতা পরিলক্ষিত হবে। আমরাই পারি, পেরেছি এবং পারব এই তিনের যোগসুত্র পূর্ণতা পাবে।
সার্বিক বিবেচনায় এখন আমাদের নির্বাচন ও জনসংযোগ পরিচালিত হউক। দৃশ্যমান হউক আমাদের আগামীর সুদৃঢ় ভিত্তির বন্ধন এবং নাগরিক জীবনের নিশ্চয়তার নিরাপত্তা। এই প্রত্যাশায় আমাদের আগামীর অঙ্গিকারে পর্যবসীত হবে।