প্রশান্তি ডেক্স॥ মাদ্রাসা থেকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সরকারি চাকুরীতে যোগদানে এখন আর কোন সমস্যা নেই। দু এক জায়গায় যে সমস্যা রয়েছে তা সহসাই কেটে যাবে। মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে অপপ্রচার করার সুযোগ নেই।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসায় বার্ষিক সবক প্রদান ও মেধাবৃত্তি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দীন এসব কথা বলেন।
এ এম এম বাহাউদ্দীন আরো বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সাবিক সহযোগিতায় সারাদেশে মাদ্রাসা শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে কেউ জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদে জড়িয়ে পরে না। বিক্ষিপ্ত দু একটি ঘটনা ছাড়া পুরোটাই অপপ্রচার।
দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক বলেন, জ্ঞানহীন ধর্ম উগ্রবাদ-জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে।কিন্তু আলেমসমাজ এদেশের উন্নয়নে মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলছে।
এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, দেশের গামেন্টন্স শিল্পে ৫০/৬০ লাখ শ্রমিক কাজ করে পরিবারে স্বাচ্ছন্দ্য আনছে। এদের মধ্যে আবার ৪০ লাখ নারী। কিন্তু তাদের ৮০ ভাগেরই ঘর-সংসার নাই। বিয়ে হয়, আবার ছাড়া- ছাড়ি হয়। ফ্যামিলি ডেভেলপ করতে না পারলে, সমাজ ডেভেলপ করা যাবে না।
কিন্তু মাদ্রাসায় পড়ুয়া সবার বিয়ে হচ্ছে, শিক্ষিত মা হয়ে সুন্দরভাবে সংসার চালাচ্ছে, সমাজ গড়ছে।
বাংলাদেশে আলিয়া ও কওমি মাদ্রাসায় ৭০ লাখ ছাত্র-ছাত্রী পড়ছে। তাদের মধ্যে ৩০ লাখ নারী। যারা মাদ্রাসায় পড়ে জ্ঞানী হচ্ছে, কম্পিউটার চালনায় পারদশী হচ্ছে।
তিনি বলেন, আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত নারীরাই আজ-কাল বিপথে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। মা সন্তানকে, স্বামীকে পযন্ত খুন করছে। স্বামীকে নিযাতনে কোন মাদ্রাসায় পড়ুয়া স্ত্রীর সম্পৃতার খবর আসেনি। বরং মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছাত্রীরা তাদের স্বামীকে সন্তুষ্ট রাখছে। সন্তানকে সঠিকভাবে গড়ে তুলছে।
মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী এতোটাই সুভাগ্যবান যে, এখন সরকারি চাকরীতে সহজেই যোগদান করার সুযোগ পাচ্ছে।
ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ড. মাওলানা একে এক মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপাধ্যক্ষ মুফতি এ এইচ এম আনোয়ার মোল্লা, গভনি বডির সদস্য সফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী, হেড মোহাদ্দেস মাওলানা মমিনুল হক, দৈনিক ইনকিলাবের আইটি প্রধান সৈয়দ এ রহমান।