নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই শিতের শিততাপ নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে এক শিতলতা। মানব মনের শিতলতা এখন নির্বাচনের ব্যালট-বাক্সে। তবে এবার ব্যতিক্রম ঘটিয়ে নতুন এক ইতিহাস সৃষ্টি হবে বলে বিশ^াস সকলের। আজ নির্বাচন এবং ঢাকার চাকা অচল; তবে সচলের আশায় জনগণ আগামীর পানে তাকিয়ে। যারাই নির্বাচনে বিজয়ী হউন তাদের প্রতি অভিনন্দন এবং যারা পরাজিত হবেন তাদের প্রতি আগামীর জন্য শুভকামনা। পরাজয়ের পরেই আসে বিজয় আর বিজয়ের পরেই আসে পরাজয়। তাই হতাশ হওয়ার কিছুই নেই আর উল্লসিত হওয়ারও কিছুই নেই। দুইয়ের মধ্যেই আছে দায়িত্ববোধ ও শিক্ষা। তবে বিজিত এবং পরাজিত উভয়েই চান সমাজের ও রাষ্ট্রের এমনকি প্রীয় ঢাকার উন্নয়ন। তাই বিজয় ও পরাজয়ে নেই কোন ফারাক। যার যার অবস্থান থেকে উভয়ে মিলেই ঢাকাকে নিয়ে যাবেন সুদুর আগামীর সমুজ্জ্বল এক সম্ভাবনাময় নতুন দিগন্তে। যা ভোগ করে কৃতার্থ হবে আমাদের আগামীর প্রজন্ম। উভয়ের প্রতি আমাদের বিনীত অনুরোধ নির্বাচন এবং জয় পরাজয়কে মেনে নিয়ে ইতিহাসে নিজেদেরকে সমুজ্জ্বল করুন।
নির্বাচনী আচরণ বিধি এবং অভিযোগ ও অনুযোগ খতিয়ে দেখে বিহিত ব্যবস্থা নেয়া সময়ের দাবি অথবা জনগণকে সম্পৃক্ত করে জানান দেয়াও জরুরী। আস্থার সংকট কাটিয়ে এখন স্থায়ীত্ব টিকিয়ে রাখার প্রতিযোগীতায় মত্ত নির্বাচন কমিশন ও এর অধিনস্ত সংস্থাগুলো এবং সর্বোপরি সরকার । নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে যে উদারতা দেখিয়েছে তা কিন্তু সকল দলের সাথে জনগণের কাছেও গ্রহণযোগ্য এমনকি কৃতার্থ হওয়ার মতই। তবে আগামীতে নির্বাচন কমিশন যেন আরো শক্ত পদক্ষেপ নিয়ে তাদের দায়িত্ব পালনে সাহসি ভুমিকা পালন করতে পারে সেই দিকে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। আমাদের দেশে কবে হবে সেই ছেলে যে কিনা জাতিকে পুনরুজ্জ্বিবীত করে বঙ্গবন্ধুর প্রতিমূর্তীতে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে এগিয়ে নিয়ে যাবে আগামীর দিশারী হয়ে। তবে সময় এখনই শুরু হয়েছে আগামীর প্রত্যয়ে। বঙ্গবন্ধুর শত জন্মবার্ষিকীর আয়োজনের পাশাপাশি তার ত্যাগের কাহিনী বর্ণনার দৃশ্যমান কাহিনীচিত্র নির্মান এবং জিবদ্দশায় ঘটে যাওয়া, বলে যাওয়া কথামালাগুলি একতিত্র করে সাজানো গল্পে উপস্থাপন হউক আগামী প্রজন্মের তরে। এখানে যেন নেই কোন বিভেদ, দন্ধ, হিংসা-বিদ্ধেশ। কারণ বঙ্গবন্ধু বাংলার সকলের। তাই তাকে নিয়ে কথা নয় বরং আনন্দ, গর্ব এবং আগামীর দৃষ্টান্ত হিসেবে উপস্থাপনই হউক সকলের কাম্য। মানুষ মাএই ভুল হয় এবং তাই আমাদের নেতাদের মুখ ফসকে অনেক কথাই বেরিয়ে আসে যা কাম্য নয় । তেমনি কুটনৈতিকদেরও এমন কোন কথা বলা বা কাজে জড়ানো উচিত নয় যা তার কূটনৈতিক শিষ্টাচারের বহির্ভূত হয় । ইদানিং অনেক বিষয় নিয়ে কুটনৈতিকগণও বেসামাল আর পাশাপাশি আমাদের নেতাদেরও বেসামাল বক্তব্য পরিলক্ষিত হয়। তাই উভয়েরই এই ক্ষেত্রে লাগাম টানা জরুরি। নির্বাচন নিয়ে কোন পদক্ষেপ নিলে কুটনৈতিকগণ নয় বরং সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলো নেবে আর সেগুলোর পুংখানু পুংখ বিশ্লেষণ বা চুলছেড়া বিশ্লেষণে জরিয়ে যাবেন আমাদের কলম যোদ্ধা সাংবাদিক বৃন্দ । কিন্তু এখন এর বাহিরেও দেখা যাচ্ছে কথা বলে, হচ্ছে এবং গোপন শলাপড়া চলছে । তাই সবই মিডিয়ার কল্যাণে বা ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণে স্পষ্ট হচ্ছে । যার যার দায়িত্ব সচেতনতার সাথে পালন করাই কাম্য। এ বাইরে গিয়ে কোন ষড়যন্ত্র বা কাউকে সফলতায় পৌছানো আমাদের কাজ নয়। বরং তা মহান খোদাতায়ালার কাজ এবং তাকেই সেই কাজ নিখুতভাবে সম্পন্ন করতে সময় ও সুযোগ দেয়া আমাদের স্ব স্ব ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী ইমানী দায়িত্ব। বাংলাদেশের মানুষ এখন ভয়ে আছে সেই করোনা ভাইরাসের। তবে সারকার সচেতন হয়ে দায়িত্ব ও কর্তব্যে তদারকি করে এগুলে সেই ভইরাস বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবে না। তবে সরকারের আন্তরিকতার বাস্তবায়নকারীরা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করে তাহলে জনদুর্ভোগ লাগব সম্ভব হবে না। তাই বিমান, জল ও স্থলপথে কোন পন্য বিশেষ করে খাবার আর চিন থেকে আগত সকল কিছু (মানুষসহ) পরিক্ষার আওতায় আনা হউক। পাশাপাশি নজরদারী বৃদ্ধি করা জরুরী। কেউ তার দায়িত্বে গাফলতি করলে সাথে সাথে শাস্তি দেয়া সময়ের দাবি। বিশেষ করে চায়না পন্য ও মানুষদের বিশেষ নজরদারীতে রাখার ব্যবস্থা আসু কাম্য। নতুবা এই করোনার করুণা পাওয়া দূরহ হয়ে পড়বে । বিগত দিনের ডেঙ্গু আর চিকনগুনিয়ার ক্ষত যেন করোনায় পরিলক্ষত না হয় । সেই দৃষ্টি নিবন্ধনই আমাদের সকলের কাম্য। যৌন অবক্ষয়ের কবল থেকে দেশকে রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে মিডিয়া এবং এর ব্যবহারকারীদের। নতুবা সর্বমহলের সম্প্রসারিত ব্যাপ্তীই আমাদের আগামীর নিরাপদ ও নিরাপক্তাকে স্বব্ধ করে দিবে। ছাএ, শিক্ষক, আলেম, শিশু, পৌড় ও বুড়ো সকলেরই যে বিকৃত মানুষিকতা এবং মূল্যবোধ অবক্ষয়ের চর্চায় নি¤œগামিতা; তা কিন্তু বিগত এবং সদ্য বছরেও পরিলক্ষত হচ্ছে। তাই এখনই সময় স্ব স্ব ধর্মীয় বিশ্বাস ও শিক্ষানুযায়ী মূল্যবোধ গুলো জাগ্রত করতে হবে। সৃষ্টিকর্তার বিধি বিধান সর্ম্পকে জানতে হবে যাতে এসকল নেতিবাচক ও ঘৃণিত কাজের পুনরাবৃওি না ঘটে। ঘটনা ঘটার পরে পদক্ষেপ না নিয়ে ঘটার আগেই পদক্ষেপ নিন যাতে এ পরিস্থিতির পুনরাবৃওি আর না ঘটে। সচেতন হউন এবং সচেতন করুন। সুশিক্ষায় শিক্ষিত হউন এবং অন্যকে শিক্ষিত করে তুলুন। মহান রাব্বুল আল-আমিন আমদেরকে তৌফিক দান করুন। আমাদেরকে/ সকলকে আসমানী বালা, জমিনী বালা, গায়েবী বালা মুসিবত হতে হেফাজত করুন। ভ্যারিফিকশনের জালে আটকে যাচ্ছে মানুষের জীবন মান। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কর্মসংস্থান; কর্মসংস্থানহীন অবস্থায় এখন জীবনের চাকা স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং সামাজিক ব্যাধিতে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে বেকারত্ম এবং অসহায়ত্ব। যারা কর্মের সঙ্গে যুক্ত এবং পরিবারের ভরন -পোষণ যুগিয়ে যাচ্ছেন সেই কমীদের কর্মকে কেঁড়ে নিচ্ছে ভ্যারিফিকেশন নামক আইনের প্রয়োগকারীরা। তবে ট্রাষ্ট এবং সোসাইটি কে সরকারী আইন মেনেই সামনে এগিয়ে নিতে চাচ্ছেন যারা তাদের অপরাধ কি? তারাতো কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বেকারত্ম লাগবে এবং উন্নয়নে অংশীদারী হচ্ছেন। কিন্তু যখন আইনেকে শ্রদ্ধা করে এগিয়ে যেতে চাচ্ছেন তখন বাধা হয়ে অভিশপ্ত জীবনে নির্বাসনে পাঠানো হচ্ছে। আইন কিন্তু মানুষের কল্যাণের জন্য আইন মানুষের অকল্যাণের জন্য নয় । তাই যেই আইন ব্যবহার করে মানুষের অকল্যাণ করা হচ্ছে সেই আইনের বিতারন এখন সময়ের দাবি। পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারীদেরও প্রশিক্ষণ এমনকি দেশের মঙ্গল ও কল্যাণের তরে দায়িত্ববোধের সহিত ইতিবাচক ভমিকা রাখা কাম্য। তবে দেখুন আপনার নিজের চাকুরীটা না থাকলে কি সমস্যায় আপনি পড়বেন। ঠিক একই সমস্যায় আপনি ফেলেছেন অসংখ্য পরিবারকে। তাই যতœসহকারে জনকল্যাণের তরে দায়িত্ব পালন করুন। আসছে ভাষার মাসে যেন ভাষাকে গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ছক কষা হয়। সেইদিকে দৃষ্টিনিবন্ধন করা আমাদের সকলেরই দায়িত্ব। আমরা দেখেছি ভাষাকে বিকৃত করে নব্য এক নাসিকা নির্ভর নির্ভর ভাসার প্রচলন করে যাচ্ছেন কতিপয় মর্ডাণ বাংলিশ স্মাটরা। আমাদের সংস্কৃতিকে বিসর্জনের জন্য প্রস্তুত করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন । তবে এখনই এর লাগাম টেনে ধরে এগুতে হবে। আর এই জন্য এই ভাষার মাসেই আমাদেরকে শপথ নিয়ে বলিয়ান হয়ে সকলকে উজ্জ্বিবিত করতে হবে। অপসংস্কৃতির কবর থেকে মায়ের ভাষাকে রক্ষা করতে হবে। সংস্কৃতির সকল স্তরকে একত্রে এগিয়ে নিতে হবে আগামীর জন্য। যেন শহীদানদের শহীদি অর্জন বিনষ্ট না হয় বরং আরো উন্নত এবং বিকশীত হয়। আমাদের জীবনে নেমে আসুক বেহেস্তী খুশবু এবং শান্তিরাজের শান্তিÍতে-বলীন হউক বাংলার আকাশ ও বাতাস। খুশবুময় হউক আমদের প্রাত্যহিক জিবনের চলার পথ। মনোলোভায় সমুজ্জ্বল হউক আমাদের কর্মময় জীবন। কর্মের ক্ষেএগুলো অবারিত হউক সকল মানবের জন্য। ভেদাবেত বিহীন জীবন নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় এখনই আর এখন থেকেই আমাদেরকে আরো অনেক দূর এগিয়ে যেতে হবে নতুন নতুন কর্ম এবং চিন্তার যোগসূত্রের দৃশ্যমান বাস্তবায়নে। আগামীতে আরো কিছুর নতুনত্ব নিয়ে এগুবে হালচাল।