প্রশান্তি ডেক্স॥ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নানা অনিয়ম, ভোট ডাকাতি, কারচুপির অভিযোগ এনে ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে’ মামলা করতে যাচ্ছে বিএনপি। রবিবার (১ মার্চ) উত্তরে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও দক্ষিণে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন মামলা করতে ট্রাইব্যুনালে যাবেন। ইতোমধ্যে মামলা সংক্রান্ত প্রাথমিক পস্তুতি শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘ভোটের সামগ্রিক ফলাফল বাতিলের দাবি জানিয়ে ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। গত ১ ফেব্রুয়ারি ভোটের নামে সারা ঢাকায় প্রহসন হয়েছে। ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। ক্ষমতাসীনরা কেন্দ্র দখল করে ইচ্ছেমতো নিজ নিজ প্রার্থীদের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। ইভিএমেও কারচুপি হয়েছে। আমরা নির্বাচনী প্রহসনের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করেছি। রবিবার নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হবে।তিনি বলেন, ‘ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে ভোট ডাকাতি, অনিয়ম ও কারচুপি নিয়ে যেসব তথ্য-প্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে তা আমরা আদালতে উপস্থাপন করবো। আদালত নিরপেক্ষভাবে সবকিছু বিশ্লেষণ করলে আশা করি ভোটের ফলও বাতিল করে পুননিবাচনের আদেশ দেবেন। ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে’ মামলা দায়ের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন জানিয়ে দক্ষিণ সিটির বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের সব প্রস্তুতি শেষ। উত্তর-দক্ষিণ একসঙ্গেই মামলা দায়েরের পরিকল্পনা রয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফলা প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানান বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থী। একইসঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ভোটে অনিয়ম, কারচুপির তথ্য-প্রমাণাদিক বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকদের সামনে তুলে ধরেন তাবিথ-ইশরাক। নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, কোনও নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশের পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে সংক্ষুব্ধ কোনও প্রার্থী বা তার মনোনীত ব্যক্তি চাইলে ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে’ আবেদন করতে পারবেন।১ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে উত্তর সিটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ও দক্ষিণে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন। ভোটের পর দিন ২ ফেব্রুয়ারি ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। ফলে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করার ক্ষেত্রে কোনও সংক্ষুব্ধ প্রার্থী ২ মার্চ পর্যন্ত সময় পাবেন। মামলা দায়েরের পরবর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে তা নিষ্পতির বিধান রয়েছে। রায়ে বাদীপক্ষ সন্তুষ্ট না হলে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে তিনি চাইলে ‘নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালে’ যেতে পারবেন। সেক্ষেত্রে পরবর্তী ১২০ দিনের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করবেন ‘নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালে’।
Share on Facebook
Follow on Facebook
Add to Google+
Connect on Linked in
Subscribe by Email
Print This Post