ভাই হারানোর বেদনাহত ভাই

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো ২৫শে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি💖 “আমরা তোমাদের ভুলবনা”। “পিলখানা ট্রাজেডির এগার বছর আজ” ২৫.২৬ ফেব্রুয়ারী ২০০৯ সালে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি জঘন্যতম ববর লোমহর্ষক হত্যাকান্ডের দিন।
এই দিনে বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় সংগঠিত হয়েছিল পৈশাচিক হত্যাকান্ড এ দেশের সূর্য সন্তান ৫৭ জন সেনা অফিসার সহ বেশকিছু বেসামরিক লোককে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছিল। সেদিন নিহত সকল বীর শহীদ সেনা সদস্যদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা ও তাদের আতœার মাগফেরাত কামনা করছি। শহীদ মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ , এনডিসি, পিএসসি, সৎ সাহসী চৌকস্ সেনা অফিসার ১৯৫৬ সালের ১৮ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ভাদেশ্বরা গ্রামে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষিত মসলিম পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন।বাবা ছিলেন অনারি মেজর,ছাএ জীবনে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলে অধিকারী ছিলেন ১৯৭৫ সালে ব্রাক্ষণবাড়িয়া সরকারী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর ১৯৭৬ সালের ৩০ নভেম্বর আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১, ২, ৩, ৯ ও ২০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি; আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুল, ৯ আর্টিলারি ব্রিগেড, ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি বিডিআরে সেক্টর কমান্ডার (রংপুর), ৬৬ আর্টিলারি ব্রিগেডে কমান্ডার, সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে সামরিক সচিব ও ৬৬ পদাতিক ডিভিশনে জেনারেল অফিসার কমান্ডিং হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসে সহকারী প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা পদেও নিয়োজিত ছিলেন।সবশেষে তিনি বিডিআরের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।তাঁর স্ত্রী নাজনীন শাকিল শিপু পিলখানা হত্যাকান্ডে শহীদ হয়েছেন। তিনি কন্যা আকীলা রাইদা আহমেদ নিকিতা ও পুত্র রাকিন আহমেদকে রেখে গেছেন।
সাবেক বিজিবি মহাপরিচালক শহীদ মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ এর ছোট ভাই মো: শফিক আহমেদ সুইট।

Leave a Reply

Your email address will not be published.