প্রশান্তি ডেক্স॥ চিত্রনায়ক সালমান শাহের মৃত্যু নিয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এর মাধ্যমে দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে চলা রহস্য উন্মোচন হয়েছে বলে দাবি করেছে পিবিআই। প্রতিবেদনে উঠে আসে, শাবনূরের সঙ্গে সম্পর্কের জেরে পারিবারিক কলহের কারণেই আত্মহত্যা করেন সালমান। প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি ডাবিং রুমে শাবেনূরের সঙ্গে সালমানকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেন সামিরা। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে একটি ইংরেজি জাতীয় দৈনিকের অনলাইনকে সামিরা বলেন, বিষয়টি আসলে এমন না। শাবনূরের বয়স তখন অনেক কম। আমাদের বাসায় নিয়মিত আসত। ইমনকে ভাইয়া বলে ডাকত। খুব বেশি মিশত, এটা আমার ভালো লাগতো না। পৃথিবীর কোনো স্ত্রীরই এটা ভালো লাগার কথা না, আমারও লাগেনি। তবে শাবনূরের সঙ্গে সালমানের যে ঘনিষ্ঠতার কথা বলা হচ্ছে সেটা অতটা না। শাবনূর বার বার সালমানের কানের কাছে মুখ নিয়ে কথা বলছিল সে সময়। ওই দৃশ্য দেখে আমার খারাপ লেগেছিল।
তিনি আরো বলেন, এরপর ইমন আমার কাছে ওয়াদা করে শাবনূরের সঙ্গে আর ছবি করবে না। যেগুলোতে চুক্তিবদ্ধ আছে সেগুলো শেষ করবে শুধু। তবে সেই সব ছবির শুটিং ও ডাবিংয়ে আমাকে নিয়ে যাবে। এমনিতেই ইমনের শুটিংয়ে আমার থাকা হতো। কারণ আমি ওর ড্রেস ডিজাইনার ছিলাম। এরপর শাবনূরের সঙ্গে সব ছবিতেই আমি শুটিংয়ে যেতাম। শাবনূরের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেও সেখান থেকে ইমন ফিরে এসেছিলো। তার সঙ্গে আর ছবি করবে না সেটা তো সে সংবাদ সম্মেলন করে সবাইকে জানিয়েও দেয়।পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সামিরাকে না বলে গোপনে ডাবিং করতে যায় সালমান-শাবনূর। সামিরা এই বিষয়ে বলেন, গোপনে না, ইমন তখন শাবনূরের সঙ্গে কোনো ছবির শুটিং ও ডাবিং থাকলে আমাকে সঙ্গে নিত বা জানাত। সেদিন সকালে আমাকে জানিয়েই গিয়েছিল। আমাকে যেতে বললে আমি বলেছিলাম, তুমি যাও আমি পরে আসছি।সামিরা দাবি করেন, আত্মহত্যাকে সালমানের পরিবার খুন বলে চালানোর চেষ্টা করেছে। আর তার ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা চালিয়েছে।সামিরা বলেন, শুরু থেকেই বলে আসছি ইমন (সালমান শাহ) আত্মহত্যা করেছে, আত্মহত্যা করেছে এবং আত্মহত্যা করেছে। আগে যা বলেছি সেটাই পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এর আগে গত সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সালমান শাহ মৃত্যুর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করে পিবিআই। সেখানে জানানো হয়- সালমান খুন হননি, আত্মহত্যা করেছেন।