প্রশান্তি ডেক্স॥ চীনের বাইরে বেশ কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এই অবস্থায় বাংলাদেশিদের বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। তবে এটি কোনো আনুষ্ঠানিক সতর্কতা বা নিষেধাজ্ঞা নয় বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মীরজাদি সাবরিনা ফ্লোরা। তিনি বলেন, যেহেতু করোনাভাইরাস বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে, তাই খুব প্রয়োাজন না হলে বিদেশ ভ্রমণ করাকে নিরুৎসাহিত করছি আমরা, তবে নিষেধ করছি না। দেশের বাইরে ভ্রমণ করে ফেরত আসা কোনো বাংলাদেশি নাগরিকের মাধ্যমে যেন ভাইরাস দেশে প্রবেশ করেতে না পারে, সেজন্য সতর্কতামূলক এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।সম্পর্কিত খবর মীরজাদি সাবরিনা ফ্লোরা বলেন, কিছু কিছু দেশে এই ভাইরাসের উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেক্ষেত্রে সেরকম কোনো জায়াগায় গিয়ে বাংলাদেশের কোনো নাগরিক যদি সংক্রমিত হন, তাহলে বাংলাদেশে ভাইরাস প্রবেশ করা ঠেকানো আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।ফ্লোরা বলেন, অনেকের ক্ষেত্রে বিশেষ প্রয়োজনে বিদেশ ভ্রমণ করতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে তারা যেন বিদেশ গিয়ে ভ্রমণকালীন সতর্কতামূলক পরামর্শগুলো মেনে চলেন। ভ্রমণকালীন সতর্কতা হিসেবে জনসমাগমে যাওয়া থেকে বিরত থাকা, বাজারে কম যাওয়া, শ্বাসনালীর সংক্রমণ রয়েছে এমন ব্যক্তির এক মিটারের মধ্যে না যাওয়া, করমর্দন না করা এবং কোলাকুলি না করার উল্লেখ করেন তিনি।যেসব দেশে ভাইরাস সংক্রমণের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে, শুধু সেসব দেশেই নয়, অন্যান্য দেশগুলোতে ভ্রবমণের ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে আইইডিসিআর। আইইডিসিআর মনে করছে, কেবল বিদেশফেরত ব্যক্তিদের মাধ্যমেই বাংলাদেশে কোভিড-১৯ ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে। যে কারণে ভ্রমণের ক্ষেত্রে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সতর্ক থাকার। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার পর বাংলাদেশে প্রবেশের সব বন্দর দিয়ে প্রবেশ করা ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।চীনের উহান শহরের যেখান থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে – তিনশো’র বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে বিশেষ বিমানে দেশে আনা হয়। তাদের সবাইকে ১৪দিন উত্তরার আশকোনায় কোয়ারেন্টিনে রাখার পর গত ১৫ই ফেব্রুয়ারি ছেড়ে দেওয়া হয়। বিশেষ সতর্কতা হিসেবে ছাড়পত্র পাওয়া সবার সাথে পরের অন্তত দশদিন নিয়মিত যোগাযোগ রাখার সিদ্ধান্ত জানায় আইইডিসিআর। পাশাপাশি এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে আসা যেসব বিদেশি নাগরিকের মধ্যে কোভিড-১৯’এর উপসর্গ পাওয়া গেছে, তাদের সাথেও নিয়মিত ভিত্তিতে যোগাযোগ রাখছে আইইডিসিআর।