প্রশান্তি ডেক্স॥ ঘুষের মামলা থেকে সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে অব্যাহতির দিয়ে বিচারিক আদালতের আদেশের বিষয়ে নারাজির আবেদন গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হুদার আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে বিচারিক আদালতের আদেশ বহাল থাকল বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
গত মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা নিজেই শুনানি করেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না, মাহজাবিন রাব্বানী দীপা, কাজী শামসুন নাহার কনা ও ঈশিতা পারভীন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে অব্যাহতির সুপারিশের প্রতিবেদন গ্রহণ করে এবং বাদী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার না রাজি আবেদন দাখিলের জন্য সময় চেয়ে করা আবেদন গত ২২ জানুয়ারি খারিজ করে দেন বিচারিক আদালত। সেই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। এ বিষয়ে দীর্ঘ শুনানি শেষে গত মঙ্গলবার হাইকোর্ট এ আদেশ দিয়েছেন।
মামলা থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় বিচারপতি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলার অভিযোগে তিনি বলেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা উচ্চ আদালতে ডিসমিস করার পরও প্ররোচিত হয়ে মামলাটির রায় পরিবর্তন করা হয়। মামলাটি ডিসমিস করতে দুই কোটি টাকা ও অন্য একটি ব্যাংক গ্যারান্টির আড়াই কোটি টাকার অর্ধেক ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা উৎকোচ চান এস কে সিনহা। পরে মামলাটি তদন্তের জন্য দুদকে আসে। দীর্ঘ দেড় বছর তদন্ত করে সিনহার বিরুদ্ধে নাজমুল হুদার মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে দুদকে।
এস কে সিনহার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পায়নি মর্মে গত ৪ ডিসেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন প্রতিবেদন দাখিল করেন। অভিযোগ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশও করা হয় প্রতিবেদনে। সেই প্রতিবেদন সম্প্রতি উপস্থাপন করা হলে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এস কে সিনহাকে গত ২২ জানুয়ারি অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন।