জেসমিন চৌধুরী॥ একদিন পর ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। আপনার প্রস্তুতি কী?
-আমার প্রস্তাব-
‘এক বিছানায় শুতে হবে ভেবে আমার ভেতরটা তেতো হয়ে যেত’
পুরুষের জন্য:
√ ‘আমি আমার স্ত্রী কে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছি’ বলবেন না। বলুন, ‘আমি আমার স্ত্রীর স্বাধীনতা খর্ব করি না।’
√ ‘পুরুষ দিবস নেই, তাহলে নারী দিবসের দরকার কী?’ বলবেন না। পুরুষের সার্বিক অবস্থার সাথে নারীর সার্বিক অবস্থার পার্থক্য নিজে বুঝতে না পারলে এর তুলনামূলক আলোচনা পড়–ুন। গুগল সার্চ দিন, ভাবুন। প্রতিষ্ঠিত অন্যায়ের পৃষ্ঠপোষকতা থেকে বিরত থাকুন।
নারীর জন্য:
√ নিজের মানসিক এবং অর্থনৈতিক শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করুন।
√ আত্মবিশ্বাসী হোন।
√ নাকী কান্না করবেন না। আপনার হৃত অধিকার কেউ হাতে তুলে দিয়ে যাবে না। আপনাকেই তা পুনরুদ্ধার করতে হবে কৌশলে, বুদ্ধিমত্তা দিয়ে। কান্নাকাটি করে নয়।
নারী-পুরুষ সবার জন্য:
√ ‘নারীই নারীর শত্রু’ জাতীয় মুখস্থ বুলি আউড়াবেন না। খালি চোখে তাকাবেন না, অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখুন। হাজার বছরের চক্রান্ত খালি চোখে দেখা যায় না।
√ ‘নারীবাদ নয়, মানবতাবাদের চর্চা প্রয়োজন’ বলে চেঁচামেচি করবেন না। আবার বলব, নিজের পর্যবেক্ষণ বা ভাবনাশক্তির অভাব থাকলে পড়াশোনা করুন। অনলাইনে সুলিখিত অনেক রচনা আছে, সেগুলো পড়ে নারীবাদ চর্চার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে চেষ্টা করুন
√ ‘বাসে আলাদা নারী আসন কেন?’ নিজে থেকে না বুঝতে পারলে নিজের মাথায় চাটি মারুন।
মা-বাবার জন্য:
√ নিজের ছেলে এবং মেয়ে সন্তানের মধ্যে বৈষম্য করা থেকে বিরত থাকুন। উভয়কে সমানভাবে শিক্ষিত এবং আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলুন।
√ মেয়েদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা হবার আগে বিয়ের কথা ভাববেন না।
√ ছেলেমেয়ে উভয়কে আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ দিন। উভয়কে যৌন শিক্ষা দিন।
√ মেয়েদেরকে ধর্ষণ থেকে বাঁচার উপায় শেখানোর চেয়ে ছেলেদেরকে ধর্ষণ না করতে শেখানোয় বেশি মনোযোগ দিন।
(লেখকের ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)