ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার কুটি বাজারে ভেজাল আস্বাস্থ্যকর মরিচ সহ বিভিন্ন মসলা গুড়ো করে বাজারে বিক্রি এবং সঠিক কাগজপত্র না রাখার দায়ে দুটি রাইস মিলের মধ্যে এক রাইস মিল মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। অন্য একটি রাইস মিলের কোন বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ও ভেজাল মসলা ভাংগানোর দায়ে সেই মিলটিকে সিলগালা করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ উল আলম। ভ্রামমান আদালত দুটি রাইস মিলের মধ্যে আয়েশা এন্টারপ্রাইজ মসল্লা মিলের মালিক মোহাম্মদ মোস্তফাকে নগদ; ৫০ হাজার টাকা জরিমান করেন। এ সময় খাজা গরিবে নেওয়াজ নামে অপর রাইস মিলটিকে সিলগালা করে দেন আদালত।
ভ্রাম্যামান আদালত সুত্রে জানা যায়, উপজেলার কুটি বাজারে কয়েকটি রাইস মিলে দীর্ঘদিন যাবত ভেজাল অস্বাস্থ্যকর মরিচ, হলুদ ও ধনিয়া সহ বিভিন্ন জাতের মসল্লা ভাংগিয়ে বাজারজাত করছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসকের সার্বিক নির্দেশনায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালায়। অভিযান চালিয়ে আয়েশা এন্টারপ্রাইজ মসল্লা মিল থেকে প্রায় ৪ মনের মতো নি¤œমানের খাওয়ার অনুপোগী মরিচ ধ্বংস করা হয় এবং মিল মালিক মোহাম্মদ মোস্তফাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর আগেও আয়েশা এন্টারপ্রাইজ মসল্লা মিল মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা এবং সতর্ক করে দেয় ভ্রাম্যমান আদালত । তার পরিবেশের ছাড়পত্র থাকায় মিলটিকে বন্ধ করা হয়নি। তবে তাকে সর্বোচ্চ সতর্ক করে দিয়েছে ভ্রাম্যামান আদালত। পরবর্তিতে এ ধরনের ভেজাল কর্মকান্ডে তাকে পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানায় ভ্রাম্যমান আদালত। অপর রাইস মিল খাজা গরিবে নেওয়াজ’র মালিকের কোন ধরনের কাগজপত্র না থাকায় এবং ভেজাল মসলা ভাংগানোর দায়ে মিলটিকে সিলগালা করে দেয় আদালত। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান স্বপন, পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগন, বাজার পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ উল আলম জানান, কুটি বাজারে একাধিক রাইস মিলে আস্বাস্থ্যকর ভেজাল মসলা ভাংগিয়ে বাজারজাত করা হয় বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়ও অবগত আছেন। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সার্বিক নির্দেশনায় পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজনকে সাথে নিয়ে এই অভিযান চালানো হয়েছে। দুটি মিল মালিকের মধ্যে একটিকে জরিমানা করা হয়েছে ও অপরটিকে সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। রমজান মাসকে সামনে রেখে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ অভিযান চলমান থাকবে।