চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ

প্রশান্তি ডেক্স॥ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২৫ নম্বর রামপুরা ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুস সবুর লিটন ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থী এবং বর্তমান কাউন্সিলর এস এম এরশাদ উল্লাহর সমর্থকদের মধ্যে পোস্টার টাঙানো নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গত বুধবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাতে ঈদগা বড় পুকুরপাড় এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় অন্তত সাতজন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আহতরা হলেন- বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ ও তার সমর্থক সাইফুল হক টনি (৩০) এবং নরুন্নবী (২৫)। অপরদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুস সবুর লিটন ও তার সমর্থক মুরাদ (২০), ফারুক (২২) ও ইউসুফ (২৫)। আহতদের মধ্যে সাইফুল হক টনি ও মুরাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। এছাড়া এলাকায় বেড়াতে আসা দুই যুবককেও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ১১ টার দিকে ২৫ নম্বর রামপুরা ওয়াডের ঈদগা বড় পুকুরপাড় এলাকায় পোস্টার লাগানোর সময় দুই কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে কাথাকাটাকাটি থেকে সংঘষের সূত্রপাত হয়। এসময় উভয়পক্ষ ধারালো অস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাখানেক ধরে চলা সংঘর্ষে রামপুরা ওয়ার্ডের ঈদগা বড় পুকুরপাড় থেকে ধোপাপাড়া পর্যন্ত এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর এস এম এরশাদ উল্লাহ বলেন, ‘এমনিতেতো আমাদের পোস্টার লাগাতে দিচ্ছেনা। তার ওপর গতকাল লাগানো পোস্টারগুলোও ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছিলো। এসব নিয়ে কাথাকাটাকাটির জেরে আমার ছেলেদের ওপর হামলা হয়। এদের মধ্যে সাইফুল হক টনির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপরদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুস সবুর লিটনের কর্মী জাকির বলেন, একই জায়গায় আমরা দুই পক্ষ পোস্টার লাগাচ্ছিলাম। আমরা সবাই একে অপরের পরিচিত। হঠাৎ তারা আমাদের ব্যানার সরাতে বললে এ নিয়ে কথা কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষ বেধে যায়। আমাদের সমর্থক মুরাদকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। মুরাদসহ দুই জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) ফারুকুল হক বলেন, ‘পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকেদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এ সময় চারজন আহত হয়েছে বলে আমরা শুনেছি। রাতেই ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। আব্দুস সবুর লিটন প্রয়াত মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। আর এরশাদউল্লাহ চট্টগ্রাম-১০ (হালিশহর, ডবলমুরিং) আসনের সংসদ সদস্য আফছারুল আমিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত হয়ে ২০১৫ সালে প্রথমবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.