ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ পাইনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় অপহরনের ৬দিন পরও উদ্ধার হয়নি অসহায় হিন্দু পরিবারের স্কুল ছাত্রী শ্রাবনী দেবনাথ (১৫)। এ ঘটনায় ওই পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এক নারীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করলেও এখনো উদ্ধার হয়নি অপহৃত ওই শিক্ষার্থী। ধরা ছোঁয়ার বাহিরে রয়েছে মুল আসামী মেহেদী হাসান ওরফে মামুন। অপরহনকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায়ও ভুগছে এই হিন্দু পরিবারটি। এ ঘটনায় অভিভাবকদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। নেপথ্যে থেকে কলকাঠি নাড়ার অভিযোগ উঠেছে ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা সাদেক সরকারের বিরুদ্ধে।মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের নয়নপুর গ্রামের প্রদীপ চন্দ্র দেবনাথের মেয়ে শ্রাবনী দেবনাথ কৈখলা রাবেয়া মান্নান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর এস.এস.সি পরীক্ষা দিয়েছে। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে একই গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে মেহেদী হাসান (১৯) তাকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। এ নিয়ে এলাকায় কয়েক দফা শালিস বৈঠকও হয়েছে। সালিশেও হিন্দু পরিবারটিরক হুমকি দেয় মেহেদী হাসানের বাবা। ক্ষিপ্ত হয়ে মেহেদী গত ১০ মার্চ বিকালে শ্রাবনীকে বাড়ি থেকে মেহেদী জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত বুধবার রাতে শ্রাবনীর বাবা প্রদীপ চন্দ্র দেবনাথ বাদী হয়ে মেহেদী হাসানকে প্রধান আসামী করে তার বাবা, মা-চাচা, ভাইসহ ৭জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে অপহরণের মামলা দায়ের করেছেন। রাতেই পুলিশ মেহেীদ হাসানের বাবা জয়নাল আবেদীন, মা জুবেদা খাতুন, প্রতিবেশী হুমায়ুন মিয়া ও মো. বাছির মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে।অপহৃত শ্রাবনী দেবনাথের মা রতœা রাণী দেবনাথ কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, বখাটে মেহেীদ আমার মেয়েকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। এ নিয়ে এলাকায় শালিস বৈঠকও হয়েছে। মেহেদী ক্ষিপ্ত হয়ে আমার মেয়েকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক তোলে নিয়ে গেছে। ঘটনার পর আওয়ামী লীগ নেতা সাদেক সরকারের কাছে গেলে তিনি ঘটনার দিন রাত ১০টার মধ্যে আমার মেয়েকে ফেরত দেয়ার কথা বলেন। কিন্তু অপহরনের ৫দিন পেরিয়ে গেলেও ফেরত আমার মেয়েকে। এখন সাদের সরকারের নিকট গেলে সে আমাকে এড়িয়ে চলে। আমি আমার মেয়েকে ফেরতসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর কাছে এর স্ষ্ঠুু বিচার চাই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা সাদেক সরকার প্রতিবেদকের সাথে বলেন আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়। আমি চেষ্টা করছি মেে য়টাকে তার মা বাবার কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য।
Share on Facebook
Follow on Facebook
Add to Google+
Connect on Linked in
Subscribe by Email
Print This Post