প্রশন্তি ডেক্স॥ যশোরের মণিরামপুরে প্রাইভেট পড়তে এসে ইকলাস হোসেন (১৯) নামে এক কলেজছাত্র খুন হয়েছে। গত মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ৬ টার পর কোন একসময় ঘটনাটি ঘটে। দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে লাশ পলাশী মোড় সংলগ্ন জামে মসজিদের মেহেরবের পাশে ফেলে যায়। লাশের কপালে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মানিব্যাগ ও মোবাইল উদ্ধার করেছে।খবর পেয়ে মণিরামপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান, খেদাপাড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সালাউদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সকাল ১০ টায় এই খবর লেখা পযন্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিল। খুনের ঘটনাটি পলাশী বহুমূখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিসি ক্যামেরার আওতাধীন। পুলিশ সিসি ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন। ইকলাস হাসান বাঘারপাড়া উপজেলার যাদবপুর গ্রামের আবু হানিফের ছেলে। পাঁচ বছর বয়স থেকে সে যশোর সদর উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামে নানা আইয়ার আলীর বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করত। সে রুদ্রপুর কলেজের বাণিজ্য শাখার ছাত্র। আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষায় তার অংশ গ্রহণের কথা ছিল। নানা আইহার আলী জানান, ইকলাস মণিরামপুরের বাসুদেবপুর গ্রামের ইব্রাহিম নামে এক শিক্ষকের কাছে ইংরেজি প্রাইভেট পড়েন। প্রতিদিন সকালে ফজরের নামাজ শেষে সাইকেলে বা দৌড়ে সে প্রাইভেটে হাজির হয়। গত মঙ্গলবার সকালে নামাজ পড়ে সে দৌড়ে প্রাইভেটের উদ্দেশে বের হয়। ঘন্টাখানেক পরে তার লাশের খবর পাই। তিনি বলেন, রুদ্রপুর গ্রামে আমার নাতীর কোন শত্রু নেই। এখন প্রাইভেট পড়তে এসে কিছু হয়েছে কিনা বলতে পারব না। স্থানীয়রা জানান, সকালে মসজিদের টিউবওয়েলে পা ধুতে এসে এলাকার একব্যক্তি লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। কি কারণে ইকলাস খুন হয়েছে তা নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। তবে প্রেমঘটিত কারণে বন্ধুর সাথে শত্রুতার বসে সে খুন হতে পারে বলে খবর প্রচার হচ্ছে। খেদাপাড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সালাউদ্দিন বলেন, খুনের ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।