সরকারের নিষেধাজ্ঞা ও আদেশ বলবৎ করে লকডাউনকে কার্যকর করার লক্ষ্যে নেয়া পদক্ষেপগুলো সময়োপযোগী ও বাস্তবসম্মত। তবে আমাদের সাধারণ মানুষ বা অতি উৎসাহী মানুষগুলো এমনকি এলাকার কিছু জ্ঞানপাপী/ ক্ষমতাশালী বা প্রভাবশালী সমাজসেবীদ্বারা এই লকডাউন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে আমার বিচরনের আতওয়ায় ক্যান্টনমেন্ট, আদর্শ পল্লী, ইব্রাহীমপুর, কাফরুল, বৃহত্তর মিরপুর, কচুক্ষেতসহ ঢাকার অলিতে গলিতে উৎসুক জনতা এবং দোকানপাট খোলা রাখার ফলে লোকসমাগম হচ্ছে এবং একে অপরের গায়ে গেষে চলছে। এই জনঘনত্বের ফলে সামাজিক নিরাপদ দুরুত্ব রহিত হচ্ছে। তাই প্রশাসনের গুরুত্ব দেয়া উচিত এবং দোকানপাট ও সাধারন উৎসুক জনতাকে ঘরে ফেরানোর যৌক্তিক ব্যবস্থা করা উচিত। সরকারের আদেশ অমান্য করা থেকে বিরত রাখার জন্য এমনকি নিজেদেরকে সুস্থ্য রাখার জন্য করনীয় পদক্ষেপ নেয়া আশু প্রয়োজন।
অপরদিকে প্রশাসনের গুরুত্ব পাচ্ছে শুধু শহরের মূল রাস্তা কিন্তু অলি-গলিতেও টহল বা পাহারা জোরদার করা উচিত। জিবানু নাষক ছিটানো প্রয়োজন সর্বক্ষেত্রে/ সব জায়গায়। শুধু মূল রাস্তায় সিমাবদ্ধ না রেখে অলিতে গলিতে এর ব্যাপ্তি বৃদ্ধি করলে আরো ফলপ্রসুতা পাওয়া যাবে। কারণ অলিতে গলিতেই মানুষের বসবাস এবং জিবানুদের বসবাসও অলিতে-গলিতেই। তাই সময় ও সুযোগ কে কাজে লাগাতে বিনীত অনুরোধ করছি।
দায়িত্বপ্রাপ্তদের দায়িত্ব সচেতনতা এবং আরো সুদুরপ্রসারী সহযোগীতা বৃদ্ধি করলে সরকারের নেয়া লকডাউন ব্যবস্থা পুরোপুরি সফলতায় পর্যবসীত হবে। আমাদেরকে প্রমান করতে হবে যে, আমরা সফল এবং আমরা পারি ও পেরেছি। তাই আরেকটু সচেতন হয়ে দায়িত্বটুকু সর্বক্ষেত্রে পালন করুন। সমগ্র দেশেই এই ব্যবস্থা জাগ্রত করুন। গ্রামে গঞ্জের মানুষ বেশী মুক্ত এবং তারা ঐ মুক্তাবস্থায়ই জিবানু ছড়াতে তৎপর তাই দেশের সকল প্রান্তে এবং সকল রাস্তায় কঠোর নজরদারী এবং সহানুভুতিশীল নির্দেশনা দিয়ে ঘরে ফেরানো ও সচেতনতা বৃদ্ধি এমনকি জীবানু নাষক ছিটানো অব্যাহত রাখুন। জয় হবে নিশ্চিত আগামীর এবং শেখ হাসিনার পদক্ষেপের সফলতা আসবেই।