খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় পুত্রবধূ

প্রশন্তি ডেক্স॥ কারাগার থেকে মুক্তির পর করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসার সার্বিক তদারকি করছেন পূত্রবধূ ডা. জোবায়দা রহমান। পরিবারের সদস্য ও দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে কাছে পেয়ে বিএনপি নেত্রী মানসিকভাবে অনেকটাই শক্তিশালী বোধ করছেন বলে জানালেন দলের নেতারা।খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় চিকিৎসা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ছোট বোন সেলিমা ইসলাম। টেলিফোনে তিনি বলেন, উনার তো শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, কথা বলতে পারছেন না, উঠে দাঁড়াতে পারছেন না। হাঁটতে পারছেননা, বসে থাকতেও বেশিক্ষণ পারছেন না, গায়ে হাত দিলেই ব্যথা লাগছে তার। খাওয়া দাওয়াও করতে পারছেন না, খেলেই বমি হয়ে যাচ্ছে। মুভ করানোর মতো অবস্থা নাই। তারও মতামত বাসাতেই থাকবেন। বিএনপি চেয়ারপার্সনের চিকিৎসার সার্বিক বিষয়ে তত্ত্বাবধান করছেন পুত্রবধূ ড. জোবায়দা রহমান। চিকিৎসা করছে দলের গঠিত মেডিকেল বোর্ড। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, অন্য যেসব চিকিৎসকরা আগে তাকে দেখতেন, তাদেরকে দিয়েই এই বোর্ড করা হয়েছে। গত বুধবার প্রায় দুই ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ শেষে আগের চিকিৎসা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরার্মশ দেয় ৬ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। পরিবার ও দলীয় নেতাকর্মীদের দেখার পর মানসিকভাবে অনেকটাই চাঙা হয়ে উঠেছেন বলে জানালেন বিএনপির ভাইস চেয়াম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ। তিনি বলেন, কোয়ারেন্টাইনে যে সমস্ত প্যারামিটার থাকে সেগুলো দেখার জন্য উনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক আছেন, নার্স আছে। তারাই উনাকে দেখাশোনা করবেন। বিএসএমএমইউ-তে যে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল সেগুলোই কিছুটা মডিফাই করে ঠিক করা হয়েছে। বাকিটা একই আছে। মানসিকভাবে পরিবারের সদস্যদের কাছে পেয়ে হয়তো কিছুটা ভালো আছেন, শারীরিকভাবে কিন্তু তিনি সত্যিই খুব খারাপ অবস্থায় আছেন। দুর্নীতির মামলায় ২ বছর এক মাস ১৭ দিন কারাবন্দি থাকার পর গত বুধবার (২৫ মার্চ) সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ১১ মাস ধরে বেগম জিয়া বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর আগে ২০০৮ সালে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে মামলার রায়ে তার পাঁচ বছরের কারাদন্ড হয়। পরে হাইকোর্ট সেই সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদন্ডের আদেশ দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.