প্রশান্তি ডেক্স॥ দেশের প্রতি উপজেলায় দিনে ১০ থেকে ২০টি করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গত মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) জাতীয় ওষুধাগারে অ্যাম্বুলেন্স বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ পরামর্শ দেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের একটিমাত্র ল্যাব ছিল। এখন ১৭-১৮টি ল্যাব আছে। আগামী দিনে আরও দশটি ল্যাব চালু হয়ে যাবে। উপজেলায় যারা দায়িত্বে আছেন তারা চেষ্টা করবেন টেস্ট (পরীক্ষা) যেন ভাল হয়। প্রত্যেক উপজেলায় প্রত্যেকদিন যেন অন্তত ১০-২০ জনের পরীক্ষা হয়। তিনি আরও বলেন, যেসব বাড়িতে বিদেশ থেকে লোক আসছে এবং তাদের আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবের কাছ থেকে বেশি করে পরীক্ষার উপকরণ সংগ্রহ করবেন। যত বেশি পরীক্ষা করাবেন আমরা তত শনাক্ত করতে পারব। করোনাভাইরাসের প্রধান কাজ হলো যাতে সংক্রমণ না হয়। অ্যাম্বুলেন্স পাওয়াদের উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এটা সরকারি সম্পদ। আর সরকারি সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আপনাদের। যেহেতু আপনাদের হাতে তুলে দেয়া হলো আপনারা নিজের গাড়ির মতো রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। যে গাড়ির চালক হবে সেজন্য প্রকৃত চালক হয়। গাড়ি প্রয়োজনে ব্যবহার করবেন, নিজের কাজে ব্যবহার করবেন না। এটা সরকারি গাড়ি সরকারি কাজেই আপনারা ব্যবহার করবেন। এই গাড়ির মাধ্যমে আমরা আশা করি আমাদের স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়ন হবে। তিনি বলেন, বিদেশ থেকে যারা এসেছিল তাদেরকে আমরা হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখেছিলাম এবং এখনও আছেন অনেকে। আপনারা চেষ্টা করেছিলেন হোম কোয়ারেন্টাইন যেন সফল হয়। আপনাদের চেষ্টার কারণেই পৃথিবীর মধ্যে এখন আমরা ভালো অবস্থানে আছি। আমাদের এত ঘনবসতি এবং ১২ লাখ লোক বিদেশ থেকে এসেছে তারপরও আমরা ভালো আছি এবং এই ভালো থাকার পেছনে হাজার লোক কাজ করতেছে। জাহিদ মালেক বলেন, এই মাসটা (এপ্রিল) খুবই ক্রিটিক্যাল। এই মাসটা আপনারা আরও বেশি করে নজরদারি করবেন। সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করবেন। মানুষের সেবায় কাজ করার সুযোগ সব সময় হয়। সুতরাং সুযোগ পাওয়াটা বিরাট বিষয়। কাজেই যারা কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন আপনাদের মাধ্যমে সিভিল সার্জনসহ সকল পর্যায়ের লোকজন আপনারা আপনাদের দায়িত্বটা সঠিকভাবে পালন করেন। মানুষের পাশে দাঁড়ালে আল্লাহ তাআলা খুশি হবেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন তাতে আমরা খুশি। এর মধ্যে সবথেকে বেশি কার্যকর করা হচ্ছে লকডাউন। আপনারা জানেন সিঙ্গাপুরের নতুন করে লকডাউন দেয়া হচ্ছে। কাজেই লকডাউন আরও বেশি কার্যকর করার পদক্ষেপ আমাদের নিতে হবে। মসজিদে কীভাবে জামাত হবে তা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। মক্কা মদিনায় দেখেন আজকে মসজিদে নামাজ পড়ে না, বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তারা কারফিউ দিয়েছে। আশেপাশের দেশগুলোতে অনেক আগেই মসজিদে নামাজ পড়া সীমিত করে দিয়েছে, বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা আরও খুশি হয়েছি প্রধানমন্ত্রী বাজারে যাওয়ার সময়টা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। কখন বাজারে যাওয়া যাবে কখন বাজারে যাওয়া যাবে না। অর্থাৎ জটলা পাকানো যাবে না। এটা আমাদের জন্য আনন্দের বিষয়।
Share on Facebook
Follow on Facebook
Add to Google+
Connect on Linked in
Subscribe by Email
Print This Post