করোনায় ১৭০ দেশের মাথাপিছু আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে… আইএমএফ

প্রশান্তি আন্তর্জাতিক ডেক্স ॥ করোনভাইরাস মহামারির কারণে চলতি বছর বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ‘তীব্র নেতিবাচক’ প্রভাব পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা । তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ১৯৩০ সালের মহামন্দার পর বিশ্ব সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। ২০২১ সাল নাগাদ আংশিক পুনরুদ্ধার হবে বলে পূর্বাভাস দেন তিনি। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। করোনাভাইরাস মহামারির প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় দেশে দেশে জারি হয়েছে লকডাউন। এতে অনেক প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। অনেকে ছাঁটাই করছেন কর্মীদের। জর্জিয়েভা বলেন উদীয়মান বাজার এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে, শত শত বিলিয়ন ডলার বিদেশি সহায়তার প্রযয়োজন হবে। মাত্র তিন মাস আগে ২০২০ সালে আমাদের সদস্য ১৬০টি দেশের মাথাপিছু আয়ে প্রবৃদ্ধি হবে বলে আশা করেছিলাম। আজ এই পরিসংখ্যান একদম ঘুরে গেছে। আমরা আশঙ্কা করছি ১৭০টি দেশে মাথাপিছু আয়ে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হবে। তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে মহামন্দার পর সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের আশঙ্কা করছি আমরা। জর্জিয়েভা বলেন, যদি এই বছরের মাঝামাঝি এসে এই মহামারির প্রকোপ কমে তাহলে আগামী বছর আংশিক পুনরুদ্ধার হতে পারে বলে আশা করা যায়। তবে তিনি সতর্ক করেছেন পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। তিনি বলেন, আমি জোর দিয়ে বলছি কি হবে তা নিয়ে প্রচন্ড অনিশ্চয়তা আছে। কত দিন এই মহামারি থাকবেসহ বেশ কিছুর ওপর নিভর করে পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ হতে পারে। আগামী সপ্তাহে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এদিকে, গত বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম সতর্ক করে বলেছে, করোনা মহামারি বিশ্বজুড়ে ৫০ কোটি মানুষকে দারিদ্রের মুখে ঠেলে দেবে। দাতব্য সংস্থাটি বলছে, মহামারিটি শেষ হওয়ার পর বিশ্বের ৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন জনসংখ্যার অর্ধেক লোক দারিদ্র্যের মধ্যে জীবনযাপন করতে পারে। গতকাল দীর্ঘ আলোচনার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা ৫৪৬ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। করোনা মহামারি ঠেকাতে লকডাউন জারি করায় ইউরোপের যেসব দেশগুলো মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে তাদের এখান থেকে অর্থসহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.