প্রশান্তি আন্তর্জাতিক ডেক্স ॥ পাকিস্তান ক্রিকেট নিয়ে কথা বলার সময় সততার কথা আসাই উচিৎ নয়। এটা পাকিস্তান ক্রিকেটের অংশ নয়’- কথাগুলো বলেছেন দেশটির সাবেক অধিনায়ক ও স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে জেল খাটা সালমান বাট। তার মতে পাকিস্তান ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সবাই কোন না কোনভাবে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। ২০১০ সালের ইংল্যান্ড সফরে স্পট ফিক্সিং করে জেল খেটেছেন সালমান বাট, মোহাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ আমির। এদের মধ্যে আমির সাজাভোগ করে ফিরেছেন জাতীয় দলে। ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছেন সালমান বাট। ক্রিকেটে ফিরলেও জাতীয় দলের সাবেক সতীথরা কখনওই আমির-বাটদের আগের মতো গ্রহণ করেনি বাট। তিনি বলেন, ‘আমি জানি না মানুষ কেন এসব বিষয়ে নিজেদের মতামত দেয়। এর কোন ফায়দা নেই। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা শুধুমাত্র আইসিসি এবং পিসিবির হাতে। কারণ আইন তারাই বানায়। জাতীয় দলে চলা দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে বাট আরও বলেন, ‘আমি জানি দলে অনেক খেলোয়াড় আছে যাদের নেয়া হয়েছে শুধুমাত্র সুসম্পকের কারণে। এছাড়া এমন অনেক খেলোয়াড় আছে যারা বাদ পড়ার পর কোন পারফরম্যান্স ছাড়াই আবার জাতীয় দলে ঢুকেছে। এগুলো কি দুর্নীতির বাইরে? পাকিস্তান ক্রিকেটের ব্যাপারে কথা বলার সময় সততার বুলি আওড়ানো উচিৎ নয়। নিজের সাজা ভোগ করে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছেন সালমান বাট। ভালো করেছেন পাকিস্তান সুপার লিগেও। তবু খোলেনি জাতীয় দলের দরজা। আদৌ খুলবে কি না জানেন না বাট। তিনি অভিযোগ তুলেছেন, শাস্তি ভোগ করার পরেও স্বাভাবিক আচরণ পাচ্ছেন না কারও কাছ থেকে। বাট বলেন, ‘আপনি যখন সময়টা কাটিয়ে ফেলেছেন, তখনই আপনার শাস্তি শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। এরপর অন্য সব খেলোয়াড়ের মতোই ব্যবহার পাওয়া উচিৎ। যখন খেলোয়াড়দের মধ্যে ভেদাভেদ করা হয়, তখন সততা কোথায় থাকে? অথবা যখন তারা চেনাজানা থাকার কারণে খেলোয়াড়দের দলে নেয়?’
Share on Facebook
Follow on Facebook
Add to Google+
Connect on Linked in
Subscribe by Email
Print This Post