স্বাস্থ্যবিষয়ক রম্য রচনায় ইন্টারভিউ

১। স্বাস্থ্যমন্ত্রী : জাহিদ মালেক স্বপন; শিক্ষা: ইংরেজি বিভাগ, ঢাবি।
২। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব: মো: আলী নূর; শিক্ষা : সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাবি।
৩। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়াম্যান: শেখ ফজলুল করিম সেলিম; শিক্ষ : পরিসংখ্যান বিভাগ, ঢাবি।
মৌলিক চাহিদার অন্যতম খাত হলো স্বাস্থ্য। আর এখানের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারকদের মেডিকেল সায়েন্সের কাউকে নিয়োগ দেয়া যেত না? তবে সবই আমাদের তগদিরের ফল। তারপরও এই রম্য ইন্টারভিউতে কাউকে কষ্ট বা আঘাত দেয়ার জন্য নেয়া বা দেয়া হয়নি। যদি কেউ স্ব উদ্যোগে আঘাতপ্রাপ্ত হন তাহলে আমাদেরকে বা ঐ ফেসবুক প্রচারককে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ক্ষমাই মহত্বের লক্ষণ এবং আগামীর দর্পন। এটি ফেসবুক থেকে সংগৃহিত তবে। করোনার বিষাদময়তা থেকে খানিকটা সময় আনন্দের জোয়ারে ভাসার লক্ষ্যেই প্রকাশিত ও প্রচারিত। #ইহাও এক ধরনের বিনোদন 😁😁

ভেন্টিলেটর চিনেন তো !! তাহলে শুনুন!

আমেরিকার রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার স্বাস্থ্য মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন বাংলাদেশের করোনা প্রস্তুতি কেমন?
উত্তর : আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রী বললেন, “আমরা তিন মাস আগে থেকে প্রিপারেশন নিয়ে রেখেছি”

আমেরিকার রাষ্ট্রদূত : আপনাদের দেশে হাসপাতালে ভেন্টিলেটর কেমন আছে? কি পরিমান আছে?

উত্তর : আমাদের ঢাকায় হাসপাতালগুলিতে তো আছেই, জেলা পর্যায়ে হাসপাতালগুলোতে আরো বেশি ভেন্টিলেটর আছে; উপজেলা পর্যায়ে হাসপাতালে ভেন্টিলেটর নাই?

আমেরিকার রাষ্ট্রদূত : কি বলেন?

উত্তর : ওখানে আরও বেশি আছে। বড় রুমগুলিতে ৪-৫টা করে ভেন্টিলেটর; বোঝেনই তো, ধুলাবালির এলাকা, মানুষের শ্বাসকষ্ট হতেই পারে।

আমেরিকার রাষ্ট্রদূত : রবার্ট মিলার খুব আশ্বস্ত হলেন আর ভাবলেন এত ভেন্টিলেটর এদের কাছে আছে, তাহলে আমেরিকার জন্যে কিছু নেয়া দরকার, সেখানে ভেন্টিলেটরের অভাবে কত রোগী করোনা ভাইরাসে মারা যাচ্ছে। তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করলেন, “স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন যে আপনাদের অনেক করোনা সাপোর্ট ইকুইপমেন্ট আছে, আমরা কি কিছু কিনে নিতে পারি একটা দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে”?

পররাষ্ট্র মন্ত্রী বললেন, “কেন নয়, আপনি স্পেসিফিকেশন আর স্যাম্পল এর ছবি পাঠিয়ে দিন”।

আমেরিকার রাষ্ট্রদূত : মিলার সাহেব বললেন আধা ঘন্টার মধ্যে তিনি লোক মারফত পাঠিয়ে দেবেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী এই সুযোগে আধা ঘন্টার মধ্যে লাইভ এ এসে বললেন, “আমেরিকাও আমাদের কাছে করোনা সরঞ্জাম চেয়েছে”। কিছুক্ষন পরে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত মিলার সাহেবের কাছ থেকে ভেন্টিলেটরের ছবি ও ডিটেল দিয়ে একটা অর্ডার আসলো।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরাসরি স্বাস্থমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দিলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী অর্ডারের প্যাকেটটি পেয়ে মূর্ছা যাওয়ার অবস্থা। হঠাৎ করে চিন্তায় পড়ে গেলেন। এ তো দেখছি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের সেই হিজিবিজি যন্ত্রপাতির অর্ডার। নাম আবার লিখেছে ভেন্টিলেটর। তিনি তো আগা মাথা কিছুই বুঝছেন না। মিলার সাহেবকে তো তিনি বলেছিলেন দেয়ালের উপরের দিকে ফুটা ফুটা চার কোনা যে ভেন্টিলেটর থাকে ঐগুলার কথা। ঐগুলাই তো বাতাস সাপ্লাই করে বা ভেন্টিলেট করে। মিলার সাহেব তো দেখছি একটা অথর্ব, ভেন্টিলেটর চিনে না\ শালা বোকাথচোদা…আগে ভেন্টিলেটর চিন তারপর……….

Leave a Reply

Your email address will not be published.