করোনায় বিদ্যুৎতের চাহিদা কমেছে ৩ হাজার মেগাওয়াট

প্রশান্তি ডেক্স \ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনার আঘাত। সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে দুইদফা। করোনায় জানমালের ক্ষয়ক্ষতি বাড়তে থাকলে ছুটির মেয়াদ আরও বাড়ানো বা প্রয়োজনে সম্পূর্ণ লকডাউন করা হতে পারে। করোনায় নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়লেও কমেছে বিদ্যুৎতের চাহিদা। বিপিডিবি সূত্র জানায়, গ্রীষ্মকাল শুরু হওয়ায় বিদ্যুৎ চাহিদার পিক-টাইম চলছে। মে মাসের শেষ থেকে জুলাই পযন্ত হবে সুপারপিক টাইম। গত বছর এই সময় দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল প্রায় ১২ হাজার মেগাওয়াট। বিদ্যুতের বার্ষিক গ্রোথ ধরা হয় ৮ থেকে ১০ ভাগ। ৮ ভাগ গ্রোথ ধরলেও এই সময় চাহিদা হওয়ার কথা ১২ হাজার ৯৬০ মেগাওয়াট। আর ১০ ভাগ ধরলে হয় ১৩ হাজার ১২০ মেগাওয়াট। অথচ এই মূহুর্তে বিদ্যুতের গড় চাহিদা ১০ হাজার মেগাওয়াট। ফলে এটা পরিস্কার যে বিদ্যুৎ চাহিদা ৩ হাজার ১২০ মেগাওয়াট কমেছে। চাহিদা কম থাকায় পিক টাইমেও কিছু বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে চাহিদা কম থাকলেও বিদ্যুতের ভর্তুকি কতটুকু কমবে তা এখনো নিরূপন করা সম্ভব হয়নি। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, বিদ্যুতের ভর্তুকি নির্ভর করছে উৎপাদন ব্যয়ের উপর। উৎপাদন ব্যয় কমলে অবশ্যই ভর্তুকি কমবে। এ প্রসঙ্গে বিপিডিবি’র পরিচালক সাইফুল হাসান চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, বিদ্যুতের গ্রোথ অনুযায়ী চাহিদা বাড়লেও বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে প্রস্তুত ছিল বিদ্যুৎ বিভাগ। তিনি বলেন, অফিস আদালত খুললে বিদ্যুৎ চাহিদা মুহূর্তেই বেড়ে যাবে। যদি দীর্ঘদিন এই অবস্থা অব্যাহত থাকে সেক্ষেত্রে বিদ্যুতের ভর্তুকিও কমবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.