প্রশান্তি অর্থ নীতি ডেক্স \ গত ৬০ বছরের মধ্যে এ প্রথম থমকে গেছে এশিয়ার অর্থনীতি। অপ্রত্যাশিত ক্ষতির মুখে পড়েছে এ অঞ্চলের রফতানি ও সেবা খাত। গত বৃহস্পৃতিবার এশিয়া-প্যাসিফিকি নিয়ে এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। আইএমএফের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক চ্যাংগইয়ংগ রি বলেন, ‘ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, সামাজিক দূরত্ব ও মহামারি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে অন্যান্য পদক্ষেপের ফলে যে সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের প্রতি অবশ্যই সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে নীতি নির্ধারকদের।একইসঙ্গে অভাবে থাকা পরিবারগুলোকে সহায়তা দিতে হবে। এক ভার্চুয়াল সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতিতে খুবই চ্যালেঞ্জিং ও অনিশ্চিত সময় পার করছি আমরা। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল তার ব্যতিক্রম নয়। এ অঞ্চলেও করোনাভাইরাসের প্রভাব অত্যন্ত ভয়াবহ হবে। বিশেষকরে রফতানিতে অপ্রত্যাশিত মাশুল গুণতে হবে। এটি ব্যবসা করার সময় নয়, এশিয়ার দেশগুলোকে অবশ্যই নীতিগত সবধরণের হাতিয়ার কাজে লাগাতে হবে পরিস্থিতি উত্তোরণে। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়ে ওই প্রতিবেদনে আইএমএফ জানায়, ৬০ বছরের মধ্যে এ প্রথম শূন্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে এশিয়া। তবে অন্য অনেক অঞ্চলই অর্থনৈতিক সংকোচনে পড়বে। সেই বিবেচনায় ভালো অবস্থানে রয়েছে এশিয়া। ইতিপূর্বে বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটের সময়ে এশিয়ার গড় প্রবৃদ্ধি ছিলো ৪.৭ শতাংশ, এছাড়া ১৯৯০ সালের এশিয়ার অর্থনৈতিক সংকটের সময় প্রবৃদ্ধি হয় ১.৩ শতাংশ। এবার তার চেয়ে আরো খারাপ হবে। আইএমএফ আশা করে এ বছর গ্রহণ করা নীতিগত হাতিয়ারগুলো কাজে লাগালে আগামী বছর এশিয়ার অর্থনীতিতে ৭.৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আসবে। তবুও অনিশ্চয়তা রয়ে যায়। সংস্থার মতে, মানুষ বাসায় অবস্থানের কারণে এ বছর সেবা খাত সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া সবচেয়ে বড় রফতানি গন্তব্যগুলোর মধ্যে আমেরিকা, জার্মানিসহ ইউরোপের দেশগুলো করোনায় অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় রয়েছে। আইএমএফ মনেকরে এশিয়ার সবেচেয়ে বড় অর্থনৈতিক দেশ চীনের প্রবৃদ্ধি আসবে এ বছর ১.২ শতাংশ। যা আগের বছরের ৬ শতাংশের চেয়ে অনেক কম।
Share on Facebook
Follow on Facebook
Add to Google+
Connect on Linked in
Subscribe by Email
Print This Post