প্রশান্তি আন্তর্জাতিক ডেক্স \ গোটা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক এখন গৃহবন্দি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলছেন, এইভাবে ভাইরাসটির দ্রæত ছড়িয়ে পড়ায় রাশ টানা গেলেও, ধীরে ধীরে এগোতেই থাকবে। তাই লকডাউনে ঠেকিয়ে রাখা ছাড়া উপায় নেই। এমনকি ভাইরাসের সংক্রমণ লক্ষণীয় ভাবে কমে গেলেও লকডাউন একেবারে তোলা ঠিক হবে না। ধীরে ধীরে তুলতে হবে। কেননা সাধারণ ওষুধে করোনা সারবে না! বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, করোনা ভাইরাসের কাছে সোয়ইন ফ্লু কিছুই না। স¤প্রতি এক বিবৃতিতে সংস্থাটির প্রধান তেদ্রস আধানম গেব্রেয়াসুস বলছেন, ‘আমরা জানি করোনা দ্রæত ছড়িয়ে পড়িছে। আমরা এটাও জানি, এই ভাইরাস খুবই ভয়ংকর। ২০০৯ সালের ফ্লু মহামারির চেয়ে ১০ গুণ বিপজ্জনক। যেটা কোনো যেনতেন ওষুধে সারবে না। প্রসঙ্গত, সোয়াইন ফ্লু’তে বিশ্বে ১৮ হাজার ৫০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। প্রথম পাওয়া গিয়েছিল মেক্সিকোয় ও পরে ২০০৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা আকাশচুম্বী। তা হলে এই বিপর্যয় থেকে মুক্তি কী ভাবে? ‘হু’ এর পরামর্শ, প্রতিটি দেশকে অনবরত টেস্ট করে যেতে হবে । খুঁজে বের করো, টেস্ট করো, আইসোলেট করো। এবং যদি কারণ করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে, তার হিস্ট্রি জেনে বাকিদেরও টেস্ট করা হোক। এ ভাবেই রোখা সম্ভব, যতক্ষণ না ভ্যাকসিন আসছে। ভ্যাকসিন ছাড়া করোনা বিনাশ সম্ভব নয়