হাসপাতাল থেকে দাফন পর্যন্ত শুধু অবহেলার শিকার হয়েছি

প্রশান্তি ডেক্স \ গত রোববার রাতে চট্টগ্রামের জেনারেল হাসপাতালে ভতির কিছুক্ষণ পরই মারা যায় শিশুটি। পিপিই বা কোনোরকম সুরক্ষা পোশাক ছাড়াই শিশুটির লাশ পরিবারের সদস্যরাই দাফন করেছেন। সোমবার রাত থেকে শিশুটির লাশ দাফনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওই ছবিতে দেখা যায়- পিপিই পরে চারজন লোক দূরে দাঁড়িয়ে আছে। তারা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মী। কার্যত তারা অদূরে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া কিছুই করেনি। আর লাশ কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটি হলো শিশুটির পিতা। তার পাশের জন শিশুটির চাচা বলে জানান, স্থানীয় সাংবাদিক কাউছার আলম। শিশুটির পিতা খলিলুর রহমান বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে পাঁচজন লোক এসেছিল। ছবিতে চারজনকে দেখা গেছে যদিও, তারা পিপিই পড়ে শুধু জানাজা পড়ছে এবং লাশ কিভাবে গোসল করাব এটা দেখিয়েছে। কিন্তু আমার ছেলেটিকে গোসল করানো এবং কবরে নামাতে কোনো সহায়তা করেনি। আমরা পিপিই ছাড়াই সব কাজ করেছি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া হতে দাফন পর্যন্ত শুধু অবহেলার শিকার হয়েছি। করোনায় মৃত শিশুটির চাচা টিপু সুলতান বলেন, প্রশাসন থেকে সব তদারকি করবে বলেও কেউ কিছু করেনি। প্রতিরোধমূলক সুরক্ষা জাতীয় কিছু ছাড়াই আমার ভাইসহ আমরা বাচ্চার লাশের গোসল ও দাফনের সব কাজই নিজেরাই করেছি। শুধু লাশ হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আনার সময় তিনটি পিপিই দেয়া হয়েছিল, তা শিশুর মা, দাদি ও অপর একজন পরেছিলেন। এদিকে প্রশাসনের অসহযোগিতা এবং দায়িত্বহীন আচরণের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে পটিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা জাহান উপমাকে মোবাইলে গত সোমবার রাতে যোগাযোগ করলে তিনি এই বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এরপর মঙ্গলবার বিকেলে আবার যোগাযোগ করলে তার সহকারী জানান, তিনি ব্যস্ত আছেন। অন্যদিকে স্থানীয় সূত্র জানায়, পটিয়ায় করোনা শনাক্তের পর যেসব স্থানে লকডাউনের কথা বলা হয়েছে তা মূলত লোক দেখানো। সেখানে প্রশাসন ও পুলিশের কোন তৎপরতা নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published.