মাইয়্যাতের জানাজা নিয়ে রাজনীতি

আমাদের দেশের মানুষগুলো ভয়াবহ এই করোনাযুগেও নিজেরা শুধরিয়ে বা তৌবা করে খোদার দরবারে ফিরে আসেনি বা আসতে চায়নি অথবা পারেনি। যারা আসেনি তারা কারা, কি তাদের উদ্যেশ্য এবং কিসের আশায় ও নেশায় তারা ব্যস্ত। মৃত্যুভয় তাদেরকে তাড়া করে না; করতে পারে না এমনি ভাব প্রদর্শন করে নেকিবাচক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছেন। এখন সময় সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্যে আসার এবং নিজের সকল নেতিবাচক অপকর্মের জন্য ক্ষমা প্রর্থনা করার। এখনই সময় নিজেকে শুধরিয়ে নিয়ে মানব কল্যাণে নিয়োজিত হওয়ার। আর এই সময় কিনা একটি পরিচ্ছন্ন এবং সম্মানীত ও সম্ভান্ত পরিবারের কৃতি সন্তান ও জাতীর গর্বীত সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব জাহানারা হক এর জানাজাকে নিয়ে বিকৃত মানষিকতার পরিচয় দিয়ে অপরাজনীতি এবং নোংরা খেলায় মেতেছেন। ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে সম্মানীত মাইয়্যাতকে অসম্মান নয় বরং শ্রদ্ধা ও সম্মান বাড়িয়ে দিয়েছেনই বটে।
যে ছবিটি পোষ্ট করেছেন সেটিতো ঐ মাইয়্যাতের জানাজার ছবি নই বরং অন্য একটি জানাজার ছবি। তবে আমি মনে করি ঐ ভদ্র মহিলার জানাজা এবং রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানোর সত্যিকারের ছবিটিও প্রকারান্তরে সোস্যাল মিডিয়ার প্রকাশ হয়েছে। তাহলে কেন ঐ বোকার স্বর্গে বসবাসকারীগণ মিথ্যা ছবি দিয়ে পোষ্ট করেছেন তা আমার বোধগম্য নয়। কিসের রাজনীতি, কার সঙ্গে রাজনীতি আর কিসের জন্যই ঐ অপরাজনীতি? যিনি চলে গেলেন তিনিতো আমাদের সবাইকে কাদিয়েই গেলেন আর তাঁরই ঔরষজাত সন্তানকে রেখে গেলেন মানুষের সেবায় নিয়োজিত থেকে ওনার শেষ ইচছাটা পুরন করতে।
প্রয়াত আইনজীবি এডভোকেট সিরাজুল হক ছিলেন উপমহাদেশের বিখ্যাত আইনবিদদের একজন; তিনি বাংলাদেশ সংবিধান প্রণেতাদের একজন। তিন বাংলাদেশের গর্ব এবং তার জীবদ্দশায় মানব কল্যানে সমস্ত কাজ করে গেছেন; মানব দরদী বঙ্গবন্ধুর সহচর হিসেবে কাজ করে ইতিহাসে বিরল হয়ে আছেন। তিনারই সহধর্মীনি তাঁর জীবদ্দশায় মানব সেবায় নিয়োজিত ছিলেন এবং তাদের শিক্ষায় ও দিক্ষায় আজ জাগ্রত রয়েছেন আমাদের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিছুল হক। তিনি তাঁর বাবা মার দেয়া শিক্ষা ও দায়িত্ব অক্ষরে অক্ষরে পালন করে যাচ্ছেন। সুতরাং আনিছুল হকের প্রতিদ্ধন্ধি বা বিরোধীতা করা অথবা ওনাকে বিভ্রত করার কোন উপকরণও ঐ মিথ্যা ছবি ব্যবহার করে করা যায়নি। তাহলে ঐ মানুষরূপী পশুগুলো কেন নোংরা খেলা খেলতে গেলো।
জনাব আনিছুল হক এবং তাঁর পরিবারের কোন শত্রু নেই এমনকি ভবিষ্যতেও থাকবে না। তাহলে ওরা কারা এবং কার প্ররোচণায় ঐসকল ঘৃণ্য কাজ করে যাচ্ছে তা খুজে বের করা এখন সময়ের দাবি। প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে আসল রহস্য উন্মোচন করা যুগের ও সময়ের উর্বর দাবি। আমি ব্যক্তিগতভাবে ঘৃণা করি ঐ নরপশুদের। যে বাবা মা ঐ সন্তানদের জন্ম দিয়েছেন তাদের জীবদ্দশাই মরে যাওয়া উচিত। কুলাঙ্গার সন্তানের বাবা-মা বা আত্মীয়স্বজন হিসেবে পরিচয় দিতেও ঘৃণা এবং লজ্জায় মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন হয়। তাই হয়ত নিজেরা নিজেদের জীবন নষ্ট করুন নতুবা ঐ নষ্টা জীবনের অধিকারী সন্তাদের ফিরিয়ে আনুন সঠিক পথে এবং েেতৗবার মাধ্যমে জীবনের স্বাভাবিক গতি ফিরে পেতে খোদার দরবারে যাচনা করুন।
আমার অনুরোধ আপনারা যারা আনিছুল হককে নিয়ে নোংরা রাজনীতি খেলছেন তাদের আর সুযোগ নেই বরং এখনই ঐ খেলা বন্ধ করুন। কারণ আনিছুল হক একা নন বরং তাঁর সঙ্গে রয়েছে দেশবাসী এবং স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা। তাই সৃষ্টিকর্তর ও দেশবাসির অভীপ্রায়ে কাজ করুন। নতুবা গায়েবী ও আসমানী বালাই নি:শ্বেষ হয়ে যাবে। তারপরও বলল আমরা যারা এখনও জীবিত রয়েছি আমরা এর প্রতিকারমূলক উপযুক্ত জবাব বা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ঐ মহিমাময় মাইয়্যাত যিনি চলে গেলেন তার অতিত, বর্তমান এবং পরকালের ভবিষ্যত উজ্বল ও ভালো। তাই তাকে আমরা ভালবাসী এবং তাঁর জন্য দোয়া মোনাজাত করি খোদার দরবারে। তাকে নিয়ে মিথ্যা কথা বলে নিজেরা আর পাপের বোঝা ভাড়ি না করি বরং সকল ইতিবাচক গুনাবলীগুলি প্রকাশ করি এবং নিজেরা ব্যবহার করে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। পাশাপাশি এও বলি, আনিছুল হকের বিরুদ্ধে কিছু বলার থাকলে সামনা-সামনি বলুন এবং ফয়সলা করুন। জনাব আনিছুল হক স্পষ্টবাদি এবং পরোপকারী। তিনি পারতপক্ষে কারো ক্ষতি করেন না বরং সকলের উপকার করার জন্যই ব্যস্ত থাকেন এবং আছেন। আমি বলতে চাই ভব্যিষ্যতে ঐ পরিবার সম্পর্কে কিছু বলতে গেলে বা লিখতে গেলে আগে পড়ালেখা করে আসুন এবং তারপর বলুন আপনার কথা। নাজেনে মিথ্যা কিছু বলবেন না বা লিখবেন না। কারণ এতে করে আপনারই ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। কারণ আনিছুল হকের পরিবার ট্রেডমার্ক এবং ঐতিহ্যগতভাবে বহুল পরিচিত। কাউকে আর ঐ পরিবারকে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে না বরং ওনাদের নিজ নিজ কর্মগুলোই পৃথিবীর শেষদিন পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখবেন।
আমি করজোরে অনুরোধ করছি যাতে আর কোন মানব সন্তান এমন অবার্চিন বিবেক বিবর্জিত কাজে নিজেদেরকে না জড়ান। আমরা ঐ পরিবারের পাশে আছি এবং থাকব আমাদের জীবদ্দশার শেষদিন পর্যন্ত। জয় হউক সত্যের আর বিলুপ্তি ঘটুক মিথ্যার।

Leave a Reply

Your email address will not be published.