কসবায় ত্রাণ নিয়ে অনলাইনে গুজব সৃষ্টিকারীদের শাস্তি চাইলেন গ্রামবাসী

ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের দেলী-পাতাইসার গ্রামে ত্রাণ দেয়া নিয়ে নোংড়া রাজনীতি খেলছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩ সদস্য। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির আহম্মদ খানকে বিতর্কিত করার জন্য মিথ্যা অপপ্রচার করছে। গ্রামের ধনাঢ্য মানুষের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়েও মিথ্যাচার করছে। গ্রামের শত শত মানুষের অভিযোগ করেন ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা কবির আহম্মদ খানের ছোটবেলার বন্ধু প্রখ্যাত শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আবদুল হান্নান গ্রামের মানুষকে সাহায্য করার জন্য ত্রাণ তহবিলে অর্থ প্রদান করেন। ওই টাকায় গত ১৩ এপ্রিল ত্রাণ বিতরণ উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুল কাওসার ভুইয়া জীবন। এতে ওই তিন কর্মী স্থানীয় এক সাংবাদিকের মাধ্যমে অনলাইন পোর্টাল ও ফেইসবুক পেইজে ভিডিও ছড়িয়ে দেয় যে ডা. হান্নান বিএনপি থেকে ২০০৮ সালে নমিনেশন চেয়েছিলেন। গ্রামের অধিকাংশ মানুষই জানায় ডা. হান্নান কখনোই বিএনপি করেননি। তিনি এবং তার বড় ভাই আবদুল কাইয়ুম আওয়ামী লীগের সমর্থক। ১৯৭০ ও ১৯৭৩ সালে তারা সক্রিয়ভাবে বর্তমান আইনমন্ত্রীর পিতা আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রয়াত সিরাজুল হকের নির্বাচনও করেছেন। আবদুল কাইয়ুম সাহেব মুক্তিযোদ্ধা ও তৎকালীন সময়ের সরকারী কর্মকর্তা। ডা. হান্নান ২০০৪ সালে মাতুয়াইল মা ও শিশু হাসপাতালের মহাপরিচালক ছিলেন। এ বিষয়ে ডা. হান্নানের সংগে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আমি ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করেছি ৭০ ও ৭৩ সালে আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচন করেছি। যারা আমার সম্পর্কে মিথ্যাচার করছে আমি জানিনা তখন তাদের বয়স কতো ছিলো। আমি আমার জন্মস্থানের মানুষকে ভালোবাসি। কবির আমার ছোটবেলার বন্ধু। তাই তার মাধ্যমে আমি সহায়তা করেছি। এলাকার মানুষের প্রতি আমার দায়বদ্ধতা আছে। এ বিষয়ে খাড়েরা ইউনিয়ন সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম বলেন, সরকারের একার পক্ষে এই মহাদূর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। তাই প্রধানমন্ত্রীর আহবানে মানুষ এগিয়ে আসছে। এখানে গুজব তৈরি করলে মানুষ আর সুন্দর মন নিয়ে কাউকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published.