প্রশান্তি ডেক্স ॥ করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষতি মোকাবিলায় আগামী জুন পযন্ত কোন ঋণ খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত না করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে এই সময়সীমা আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি করেছে ব্যাংকের মালিকদের সংগঠন ব্যাংকস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বিএবি)। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে এ দাবি জানানো হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির ও ব্যাংকের এমডিদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) প্রেসিডেন্ট ও ইস্টার্ন ব্যাংকের এমডি আলী রেজা ইফতেখার অংশ নেন। বৈঠকে শুরুতে বিএবি ও এবিবি ৯৮ হাজার ৩১৬ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ দেন। এছাড়া এই প্যাকেজ বাস্তবায়নে ব্যাংকগুলোতে সহায়তা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতি সস্তোষ প্রকাশ করেন। বিএবি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক তারল্য সহায়তা দিতে বিভিন্ন নীতিগত সহায়তা দিচ্ছে। তবে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত খেলাপি না করার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রকৃত ক্ষতি বিবেচনা এটি ডিসেম্বরও পর্যন্ত বাড়ানো প্রয়োজন। গভনর ফজলে কবির বলেন, ব্যাংকগুলো যেন মন্দা পরিস্থিতি সামাল দিতে ভূমিকা রাখতে পারে এজন্য নীতি-সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকবে। খেলাপির নীতিমালা ছাড়ের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, অর্থনীতির মুল চালিকা শক্তি ব্যাংক। করোনার পরিস্থিতিতে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ব্যাংকের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। ব্যাংকের উপর চাপ কমাতে বন্ড মার্কেট উন্নত করার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, এই মন্দা সময়ে খেলাপি ঋণ যেন বেড়ে না যায় এজন্য সচেষ্ট থাকতে হবে। ঋণ আদায় অনেক কষ্টসাধ্য সেটি অব্যাহত রাখতে হবে। ব্যাংকের অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে ব্যাংকের তহবিল ব্যয় কমাতে হবে। আর আমানতের টাকা উত্তোলনের চাপ সফলভাবে ব্যাংকগুলোকে সামলাতে হবে।
Share on Facebook
Follow on Facebook
Add to Google+
Connect on Linked in
Subscribe by Email
Print This Post