আমিরাতে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে করোনায় দুই ভাইয়ের মৃত্যু

প্রশান্তি ডেক্স ॥ সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে দুই সপ্তাহ ব্যবধানে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়। তাদের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ির ধর্মপুরে। তাদের মধ্যে ৫ মে আবুধাবীর মাফরাক হসপিটালে করোনায় মারা যান শাহ আলম। তিনি ২২ বছর যাবত এই প্রবাসে দিনযাপন করছেন। এর আগে ১৯ এপ্রিল শাহ আলমের বড় ভাই মো: বেদারুল ইসলাম ১০ দিন আবুধাবির এনএমসি হসপিটালে চিকিৎসাধীন থেকে মারা যান। বড় ভাইয়ের শোকের কাতর শাহ আলম অসুস্থ হয়ে পড়েন। রুমে থাকা মোহাম্মদ ইয়াছিন তাকে মাফরাক হসপিটালে ভর্তি করান। কয়েকদিন থাকার পর মেডিকেল থেকে মোহাম্মদ ইয়াসিনকে ফোনে জানানো হয় মৃত্যুর সংবাদ। শাহ আলমের করোনায় মৃত্যু হওয়ায় বানিয়াছ কবরস্থানে দাফন করা হয়। বেদারুল আলম ও শাহ আলম আবুধাবী মোচ্ছাফায় কমরত ছিলেন। বেদারুল আলম ও শাহ আলম ফটিকছড়ির ডাঃ শামসুল আলমের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুত্র। দুই সন্তানের মৃতে্যুতে পরিবারে চলছে শোকের মাতম। প্রবাসে এভাবে করুন মৃত্যুতে শোকাহত দুই ভাইয়ের সহকর্মী ও পরিচিতজনরা। কোরনাভাইরাসসহ প্রবাসের মাটিতেই ব্যাপক হারে প্রবাসীদের মৃত্যু হচ্ছে স্ট্রোক বা হৃদরোগে। এই মুহুর্তে সারা বিশ্বের সাথে বিমান চলাচল বন্ধ হওয়াতে এসব মৃত ব্যক্তির লাশ পরিবারের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। আরব আমিরাতে বিভিন্ন হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে অনেক প্রবাসীর লাশ। আমিরাত সরকারের ঘোষণা অনুয়ায়ি করোনায় কেউ মারা গেলে তাকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে স্থানীয়ভাবে দাফন করে ফেলতে হবে । তবে হৃদরোগে কেউ মারা গেলে বাংলাদেশ দূতাবাস ও দুবাই কনস্যুলেটে মৃত্যু ব্যক্তির ক্লিয়ারেন্স এবং এদেশে জেলে থাকা বাংলাদেশিদের দেশে পাঠানো দ্রুত ব্যবস্থা করছেন লেবার উইংয়ের কর্মকর্তারা। লেবার উইংয়ের এক কর্মকর্তারা বলেন, “আমাদের কোন বন্ধ বা ছুটি বলতে কিছু নেই। সবসময় প্রবাসীদের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিদিন কর্মহীন এবং অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করাসহ প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং দুবাই কনস্যুলেট।”

Leave a Reply

Your email address will not be published.