বাবাকে হত্যার বর্ণনা দিলেন নিহতের ছেলে

প্রশান্তি ডেক্স ॥ আমার চোখের সামনে বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। আমি দেখেও কিছু করতে পারলাম না। মাকে ফোন করি মা দৌড়ে এসে বাবাকে হত্যাকারীদের হাত থেকে রক্ষা করতে পারলেন না বলে জানান নিহতের বড় ছেলে ফয়সাল। নিহতের ছোট ছেলে ফরহাদ(২)বাবাকে খুঁজছেন কান্নাকাটি করছেন। নিহতের স্ত্রী, ছেলে মোহাম্মদ ফয়সল উদ্দীন ও পরিবারের সদস্যারা হত্যাকারীদের বিচারের দাবি জানায়। এ ঘটনায় গত বুধবার নিহত বখতিয়ারে বড় ভাই মোহাম্মদ লোকমান বাদী হয়ে মামলা করেন। সরেজমিন প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের পরিবারের সাথে কথা হলে জানা যায়,মুলত হত্যাকান্ডটি ঘটেছে ত্রাণ আর রাস্তার কাজ নিয়ে,নিহতের দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে ফয়সল(১১) অশ্রু কন্ঠে এ প্রতিবেদককে আরো জানান,আমার সামনে তারা আমার বাবাকে মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। আমি দুরে থাকলেও বাবার চিৎকার শুনে আমি দৌড়ে এসে দেখি ওরা আমার বাবাকে বেদরক মারছে, তখন বাবার মোবাইলটি মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে আমি মোবাইলটি নিয়ে মাকে ফোন করে ঘটনাটি জানায়, মা দৌড়ে এলেও বাবাকে আর বাচাঁনো গেলো না। ঘটনার পর পর দূবৃত্তরা হালদা নদীর দিকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। নিহত বখতিয়ারের বড় বোন অভিযোগ করে বলেন, ‘কোন কারণ ছাড়াই আমার ভাইকে মেরে ফেলা হলো। কী দোষ ছিল আমার ভাইয়ের? শুধু একটু শাসন করেছিল এলাকার কিছু অন্যায় অপরাধমুলক কর্মকান্ড গুলো নিয়ে। গত বৃহস্পতিবার (৭ মে)আছরের নামাজের পর নিহত বখতিয়ারকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। নিহত বখতিয়ার হাটহাজারী উপজেলার গড়দুয়ারা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বকশি সিকদার বাড়ির মনির আহাম্মদের ছেলে। নিহত বখতিয়ার ওয়ার্ড ত্রাণ কমিটি’র সচিব ছিলেন উল্লেখ্য থাকে যে, গত বুধবার(৬ মে) চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা গড়দুয়ারা ওযার্ড আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বখতিয়ার দুবৃত্তদের হাতে প্রাণ হারায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.