ভাইরাসরোধী কাপড় তৈরি করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে নোমান গ্রুপ

প্রশান্তি ডেক্স ॥ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসকে নির্মূল করার জন্য সারা বিশ্ব যখন প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে, ঠিক সেই সময় করোনাভাইরাস প্রতিরোধক কাপড় তৈরি করে বিশ্বকে তাক তাক লাগিয়ে দিয়েছে দেশের বস্ত্র খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান জাবের অ্যান্ড জুবায়ের। (১৪ এপ্রিল) রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই কাপড় উদ্ভাবনের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। উদ্বোধনের পর সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শুরু করবে প্রতিষ্ঠানটি। দেশের প্রয়োজনে সরকার এই কাপড় ব্যবহার করতে চাইলে সরবরাহ করতে চায় তারা। গত মঙ্গলবার (১২ মে) নোমান গ্রুপের সিস্টার কনসার্ন জাবের অ্যান্ড জুবায়েরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমকে জানান, এই কাপড় তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ সায়নিক পদার্থ। ফলে ওই কাপড়ে করোনাভাইরাসসহ অন্য কোনো ভাইরাস টিকতে পারবে না। যদি কোনোভাবে কোনো ভাইরাস ওই কাপড়ে লাগে, মাত্র ১২০ সেকেন্ডে ওই কাপড় ৯৯.৯ শতাংশ ভাইরাসমুক্ত হবে। তারা আরও জানায়, বস্ত্র খাতে প্রতিযোগী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশেই প্রথম এই কাপড় উদ্ভাবিত হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে অন্য দেশগুলোও এই কাপড় তৈরিতে এগিয়ে আসবে বলে তারা আশাবাদী। প্রতিষ্ঠানটির ব্র্যান্ড অ্যান্ড কমিউনিকেশন ম্যানেজার অনল রায়হান বলেন, সাধারণ সব ধরনের পোশাক তৈরিতে ভাইরাস প্রতিরোধক এই কাপড় ব্যবহার করা যাবে। তবে বিশেষায়িত কাপড় হওয়ায় এই কাপড়ে তৈরি পোশাকের দাম তুলনামূলক বেশি হবে। জাবের অ্যান্ড জুবায়ের রপ্তানির জন্য এ কাপড় তৈরি করেছে বলে জানান এ কর্মকর্তা। এরই মধ্যে তাদের এই কাপড় আন্তর্জাতিকভাবে মান সনদের স্বীকৃতি পেয়েছে। আইএসও ১৮১৮৪-এর অধীনে এটি পরীক্ষা করা হয়েছে। কাপড় তৈরির মূল উপাদানগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বিষাক্ত পদার্থ নিয়ন্ত্রণ আইন ও পরিবেশগত সুরক্ষা সংস্থায় নিবন্ধিত। ভাইরাস রোধে এ কাপড় প্রায় শতভাগ নিরাপত্তা দিলেও ২০ বার ধোয়ার পর এর কার্যকারিতা কতখানি থাকবে, তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। তার পরও এই কাপড় নেওয়ার ব্যাপারে ইউরোপ-আমেরিকার ক্রেতাদের কাছ থেকে বিপুল সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.