প্রশান্তি ডেক্স॥ অকারণে ৫০ হাজার টাকার ইনজেকশন নেয়ার কোনো মানে হয় না। বরং ঠিকভাবে যত্ন নিলে করোনা চিকিৎসায় সর্বোচ্চ ১০০ টাকা খরচ হয় বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গত শুক্রবার গণমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানান।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ওষুধের পেছনে ঘুরে লাভ নেই। উপসর্গ দেখা দিলে প্রথমে টেস্ট করাতে হবে। যদি রিপোর্ট পজেটিভ হয়, তখন হালকা জ্বর, সর্দি-কাশি থাকতে পারে। এক্ষেত্রে ৭০ পয়সার প্যারাসিটামল নিয়ম করে মোট ১০টা খেতে হবে। মাত্র ৭ টাকা খরচ হবে। কোনোভাবেই ঠাণ্ডা পানি খাওয়া যাবে না। সবসময় গরম পানি খেতে হবে। নাক দিয়ে পানি পড়লে ৫০ পয়সা দামের এন্টিহিস্টামিন খেতে হবে।
করোনা চিকিৎসার সবচেয়ে বড় ওষুধ হলো- রোগ ধরা পড়ার পর পরই সবার থেকে সম্পন্ন আলাদা হয়ে যেতে হবে। এর বাইরে যদি শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এক্ষেত্রে অক্সিজেন লাগলে তা দিতে হবে। এ ছাড়া প্রতিদিন দুটা করে মোট ছয় দিন ডক্সিসাইক্লিন খেতে হবে। সবমিলিয়ে সুস্থ হতে সর্বোচ্চ ১০০ টাকার মতো খরচ হবে।
নিজের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে জ্বর নেই বললেই চলে। এখন একটা এক্স-রে করার পর উন্নতি দেখা গেছে। এই রোগ মূলত শ্বাস-প্রশ্বাসে ঝামেলা করে। তাই এক্স-রে করা। পাশাপাশি খুবই কম খরচে চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বলেন, জীবনী শক্তি থাকলে যে সুবিধাগুলো আমি পেয়েছি, তা দেশের প্রত্যেকটা নাগরিক যেন পায়, সে জন্য কাজ করে যাব। তাই জনগণকে এটাই বলব যে, অকারণে ৫০ হাজার টাকার ইনজেকশন নেয়ার কোনো মানে নেই। আর রেমডেসিভির গ্রহণ করা হবে সবচেয়ে বোকামি। করোনার একমাত্র চিকিৎসা হচ্ছে, দ্রুত টেস্ট করা, আলাদা থাকা এবং খুব কম দামের ওষুধ খাওয়া।