প্রশান্তি ডেক্স ॥ বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বে এখন আলোচনা বড় বিষয়বস্তু হলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। করোনাভাইরাসের কারণে অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে গেছে চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে হতে যাওয়া কুড়ি ওভারের ক্রিকেটের বিশ্ব আসর। স্বাগতিক দেশ অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত খুব কম সম্ভাবনা দেখছে যথাসময় এটি আয়োজনের।
প্রায়ই একই কথা বললেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান এহসান মানি। তার মতে চলতি বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন সম্ভব হবে না। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত চলে আসবে তিন-চার সপ্তাহের মধ্যেই। আইসিসির পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে ১০ জুলাইয়ের কথা বলা হয়েছে।
সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে ১৮ অক্টোবর শুরু হয়ে ১৬ নভেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটি। কিন্তু করোনার থাবায় এখন সামনে চলে এসেছে অনেক প্রশ্নবোধক চিহ্ন। গত মঙ্গলবার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া চেয়ার আর্ল এডিংস পর্যন্ত বলেছেন, ১৬ দলের অংশগ্রহণে এ বছর বিশ্বকাপ আয়োজন করা খুবই কঠিন হবে।
গত বুধবার একই সুরে এহসান মানি বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের সরকার সর্বোচ্চ সতর্কতা মেনে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। চলতি বছর যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়, তাহলে সেটি সম্পূর্ণ সুরক্ষিত পরিবেশে করতে হবে। যেমনটা পাকিস্তান দল ইংল্যান্ড সফরে থাকবে। এক-দুই দলের ক্ষেত্রে এটা সম্ভব। কিন্তু ১২-১৬টি দল যখন একটি টুর্নামেন্ট খেলবে, তখন এটি বজায় রাখা অসম্ভব বিষয়। আমি মনে করি, ২০২০ সালে কোন আইসিসি ইভেন্ট আয়োজন করা সম্ভব নয়।’
এসময় এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এক বছর পিছিয়ে দেয়ার পক্ষে মত দেন মানি, ‘আমার মতে, এ বছরের ইভেন্ট এক বছর পিছিয়ে দেয়াই ভাল। আইসিসির কাছে সেই সময় আছে। কারণ ২০২০, ২০২১ এবং ২০২৩ সালে আইসিসির পরবর্তী ইভেন্ট। ফলে মাঝের খালি সময়টা কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে। এ বিষয় নিয়েই এখন ভাবা উচিৎ।’