কসবায় ডাকঘরের পিছনে সিঁড়িতে মিললো দুই কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ

ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ঝুলন্ত অবস্থায় সোনিয়া(১৩) ও সুমাইয়া(১৪) নামে দুই কিশোরীর উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বুধবার (১৭ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার কুটি বাজারের ডাকঘরের পিছনের ভবনে লাগানো লোহার সিঁড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয় লাশ দুটি। নিহত দুই কিশোরী একে অপরের বান্ধবী। তাদের মধ্যে সুমাইয়া আক্তার কুটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ছিলো। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া সদর হাপসাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে পুলিশ বলছেন, এটি কি হত্যা না আতœহত্যা ময়নাতদন্তে প্রতিবেদন পেলেই প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হবে। নিহত সোনিয়া আক্তার বিল্লাল মিয়ার মেয়ে এবং সুরাইয়া বাবুল মিয়ার মেয়ে। তারা কসবার কুটি বাজার সংলগ্ন একটি বয়লার মিল সংলগ্ন ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কসবা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো.মিজানুর রহমান ভ’ইয়া ও কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ লোকমান হোসেন। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, বিল্লাল মিয়া ও বাবুল মিয়া কসবার কুটি বাজার সংলগ্ন একটি বয়লার মিলে শ্রমিকের কাজ করতেন। তারা স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েদের নিয়ে পাশেই বাসা করে বসবাস করতেন। সোনিয়া ও সুমাইয়া একে অপরের বান্ধবি হিসেবে চলাফেরা করতো। গতকাল বুধবার দুপুরে খাবারের পর থেকে ছুনিয়া ও সুরাইয়াকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে সন্ধ্যার দিকে কুটি বাজারের ডাকঘরের পিছনের একটি ঝুলন্ত শিড়িতে দুই কিশোরীর লাশ দেখতে স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে কসবা থানার পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের


সোনিয়া আক্তারের বাবা বিল্লাল হোসেন বলেন, সুনিয়া ও সুমাইয়া এক সাথেই চলাফেরা করত। দুপুরের খাবারও বাসায় খেয়েছে। খাবারের পর থেকেই দুইজন নিখোঁজ। তিনি বলেন, বাসার কারো সাথে রাগ-অভিমানও করেনি এমনকি ঝগড়া বিবাদও হয়নি। জানামতে আমাদের কোন শত্রুও নেই। বুঝে উঠতে পারছি না। তাদেরকে কেউ খুন করে ঝুলিয়ে রেখেছে নাকি নিজেরাই গলায় ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করেছে।
কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মো.লোকমান হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কুটি পোষ্ট অফিসের পিছনে একটি লোহার সিঁড়ি থেকে দুই কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ দেখে স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করেছে। ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসলেই বুঝা যাবে এটি কি হত্যা না আতœহত্যা ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.