সাইফুল ইসলাম, অনুসন্ধানী প্রতিবেদক ॥ করোনাকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে একসঙ্গে ২০০,৫০০০০ কোটিরও বেশী মানুষকে বিচলিত না হয়ে আনন্দ করার খোরাক জুগিয়েছেন। তবে এই আনন্দে নিরানন্দের ভাগ বসিয়েছেন অদৃশ্য এক দুষ্টচক্রান্তকারীর চক্র। একজন মানুষের ভোটার আইডি ব্যবহার করেছেন এবং ফোন নাম্বার ব্যবহার করেছেন অন্য আরেকজনের। যাতে করে ঐ আইডিধারী লোকটি টাকা না পেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভালবাসা বঞ্চিত হন এবং দুষ্টচক্রের মানুষটি শুধু ফোন নাম্বার স্বরযন্ত্রের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। খবর নিয়ে জানা যায় এমন চক্রান্তের স্বীকার হাজারো বা তারো বেশী মানুষ যা আমাদের অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে।
যারা এই কাজটি করেছেন তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলে কোন সদুত্তর না দিয়ে বলে মোবাইল একাউন্ট না হওয়ায় এখন টাকা আসেনি কিন্তু পরে আসবে। এইভাবে অধিকার বঞ্চিত করে মানুষকে প্রধানমন্ত্রীর ভালবাসা বঞ্চিত করেছেন। অনেকের মধ্যে একজনের নাম ও ঠিকানা এবং ভোটার আইডি প্রকাশ করলাম। তিনি আব্দুল আলিম ভুইয়া, পিতা মৃত মো: শিরু মিয়া ভুইয়া, মাতা মৃত রোকেয়া খাতুন, জন্ম তারিখ- ১০ অক্টোবর ১৯৫১, গ্রাম + পো: সৈয়দাবাদ, থানা-কসবা, জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ভোটার আইডি নং- ১২১৬৩৩৭৫৪২৯৫২।
উল্লেখ্য যে জনাব আব্দুল আলিম সাহেব একজন অতি সাধারণ এবং অমায়িক মানুষ। তিনি সরল মনের সাদা মানুষ; ওনাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন আমিতো কোন টাকা পাই নাই এবং যারা আমার নাম দিয়েছে ও ভোটার আইডি নিয়েছে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলে বলে পরে টাকা আসবে কারণ আমার ফোন নাম্বারের একাউন্ট হয় নাই। যাক আপনি টাকা পেলে কি করতেন; তিনি হাস্যোজ্জ্বল মুখে বলেন আমার টাকা আমি পেয়ে যারা গরিব মানুষ তাদেরকে দিয়ে দিব আর প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করতে বলব। কিন্তু যদি না পান তাহলে কি করবেন- তিনি বলেন যেহেতু আমার নাম প্রধানমন্ত্রীর উপহার লিষ্টে উঠেছে সেহেতু আমি এই টাকার সমপরিমান গরিবকে দিয়ে দিয়েছি। আল্লাহ আমার ছেলে-মেয়েদেরকে ভাল রেখেছেন; তাদের আয়-উন্নতি ও আমার কৃষিকাজের উন্নতি দিয়ে সংসার ভালভাবেই চলছে। তবে যদি কখনো বিপদে পড়ি তাহলে আমার ছেলেরা (ভাইয়ের ছেলেরা) আমাকে দেখবে। আমার কোন সমস্যা হবে না। আমার ভাইয়ের ছেলেরা সবাই আওয়ামী লীগ করে এবং তারা সবাই ভাল অবস্থানে আছে। ডাক্তার, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর, ব্যবসায়ী এবং আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশ প্রধানসহ বিভিন্ন কর্মে জড়িত। তারা এই করোনা সংকটে আমার জানামতে এলাকায় এবং ঢাকায় ৫-৭লাখ টাকার উপহার দিয়েছে। এখনও দিচ্ছে। তাই আমার এবং আমাদের কোন সমস্যা নেই আর ভবিষ্যতেও হবে না।
এই হলো লোভী ও সুচতুর মানুষের খেলা যা প্রধানমন্ত্রী উপহার খেকো মানুষ হিসেবে চিহ্নিত হউক। তাদেরকে চিহ্নিত করে জাতির সামনে হাজির করে দৃষ্টান্তসূভল ব্যবস্থা গ্রহন করে অন্যদের সামনে একটি ইতিহাস লিপিবদ্ধ করুন। বঙ্গবন্ধুর আনা সাড়ে সাত কোটি মানুষের কম্বলের মধ্যে যেখানে বঙ্গবন্ধুর কম্বলটিও লুটে নিয়েছিল ঐ কুলাঙ্গাররা; আর আজ প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার এবং ত্রান লুটে পার না পেয়ে ফেসে যেতে হচ্চে প্রকারান্তরে সকলকেই। আসুন আমরা এই অনুসন্ধানি রিপোটটির আলোকে ঐ চক্রের হোতাদের জাতির সামনে উপস্থাপন করি। প্রধানমন্ত্রীর ভালবাসাকে জাগ্রত রাখি।