সম্প্রতি একটি নিউজ বিভিন্ন মাধ্যমে (স্যোসাল মিডিয়ায়) দাপিয়ে বেড়াচ্ছে যা সত্যই মিথ্যা এবং মিথ্যাজগতের কাল্পনিক কাহিনীকেও হার মানায়। এই গল্পটি বা কাহিনীটি আমি মনযোগ দিয়ে কয়েকবার পড়েছি এবং সত্যিই মর্মাহত হয়েছি। যিনি লিখেছেন এবং যিনারা এইটিকে মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছেন সবাই বোকার স্বর্গে বাসকরা মানুষজন বলে দাবি করা যায়। তাহারা যুক্তি ও বাস্তবতা কোনটিই প্রয়োগ করেনি এটি প্রচার ও প্রকাশ করার ক্ষেত্রে। তবে যিনি লিখেছেন তিনি মিথ্যা কাহিনী রচনায় ওস্তাদ এবং মানুষের মনে দাগ কাটার মত করেই মিথ্যাকে সত্যের আলোকে সাজিয়েছেন। তাই তিনাকে বলছি ভাই যথেষ্ট পারদর্শিতা দেখিয়েছেন আর নয়; দয়া করে সত্যকে সত্যের আলোকেই উদ্ভাসীত করুন। মানুষপটে তাহলে নিজেকে অনেকদিন জীবনদায়ী ঝড়নার ন্যায় প্রবাহিত রাখতে পারবেন, তবে এভাবে আর বেশীদিন নয় বরং অন্ধকারে কয়লার আগুনেই বেশী জ্বলবেন ও অন্যদেরকে জ্বালাবেন।
আসল কথাটি হলো এই লিখাটি ছিল জনাব আবুল মাল আব্দুল মুহিত সাহেবকে নীয়ে। জনাব আবুল মাল আব্দুল মুহিত সাহেবকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি ও জানি এবং ওনাকে খুব কাছে থেকে দেখেছি ও শিখেছি; যখনই ওনার কাছে গিয়েছি তাঁর ভালবাসা পেয়েছি আর যা চেয়েছি তাই পেয়েছি; তবে নিজের জন্য নয় বরং মানুষের জন্য। এই সদা হাস্যোজ্জ্বল মানুষটিকে নিয়ে এধরণের লিখার তিব্র নিন্দা জানাই এবং ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি। ভাই যা লিখেছেন তা সত্যিই চমকপ্রদ একটি মিথ্যা ও বানোয়াট গল্প। জনাব মুহিত সাহেব তার বনানীর বাসায় ছেলে, নাতি – নাতনি, ছেলের বউ মোট কথা পরিবার নিয়ে ভাল আছেন। মুহিত সাহেব তার ছেলে ও মেয়েদেরকে নিয়ে যথেষ্ট ভাল আছেন এবং তার ছেলে মেয়েরা অমায়িক তবে মেয়েরাতো বাবার যতœ একটু বেশীই নেন এটা আমার ও মুহিত সাহেবের এমনকি আপনাদের ক্ষেত্রেও প্রমানিত সত্য। তবে ছেলেরাও কম নয়। ছেলেদেরকে আর ক্ষেয় প্রতিপন্ন করবেন না এমনকি মিথ্যা দিয়ে সমাজ সংসারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেন না। তবে মুহিত সাহেব এবং ওনার পরিবার এতো ভদ্র যে, ঐ মিথ্যাবাদিকে আইনের আওতায় নিতে লজ্জ্ববোধ করছেন। কারন তারা ভদ্র এবং ভালবাসায় এমনকি ক্ষমায় পূর্ণ। সকলেরই জানা উচিত বর্তমান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পর্কে। তাই এই আইনের মোক্ষম সময়ে যিনি প্রয়োগ করেননি তিনি কত ভালো মানুষ তা আর বলে বোঝানোর দরকার হয় না।
আরেকটি কথা বলে রাখা ভাল যে, তিনি আওয়ামী লীগের পরামর্শদাতাদেরও একজন এবং সরকারের ক্ষমতাধর সকলেরই শ্রদ্ধাভাজন। তাঁর ক্ষমতার বিচরণ বলে প্রকাশ করারও দরকার নেই। ওনারই ছোট ভাই বর্তমান পররাষ্ট্র মন্ত্রীও বটে। তারচেয়ে বড় কথা জনাব মুহিত সাহেবরা সেই বাংলাদেশ সৃষ্টিপূর্ব থেকেই সমুজ্জ্বল এবং সম্ভ্রান্ত পরিবারের দায়িত্ববান ব্যক্তিদের তালিকায় সর্বাঙ্গে ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে থেকে শুরু থেকে অদ্যাবদি পর্যন্ত দেশ গঠনে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই তাকে নিয়ে এই ধরণের লিখা বাস্তবসম্মত নয়ই বরং একটি চক্রান্ত বলেও মনে করি। ভবিষ্যতের জন্য সকলেই সাবধান হউন এবং ইতিবাচক জীবন ও কর্মে ফিরে আসুন। নয়ত আপনার জন্যও আরো ভয়ানক খবর অপেক্ষা করে আছে। আশা করি নির্বোধের বোধশক্তি ফিরে এসেছে এবং জ্ঞান ও বুদ্ধি ব্যবহারের সুযোগ নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবেন সবাই। সেই প্রত্যাশা করেই শেষ করছি।