ঢাকা-বেইজিং বাণিজ্য যোগাযোগ বাড়ানো হবে…চীনা রাষ্ট্রদূত

প্রশান্তি আন্তজার্তিক ডেক্স ॥ বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, চীনা বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশি রপ্তানিকারক এবং চীনা ভোক্তা উভয়ই উপকৃত হবেন। গত বুধবার (২৪ জুন) তিনি বলেন, ‘চীনে ১৪০ কোটি জনসংখ্যার বাজারে বাংলাদেশি পণ্য প্রবেশের ফলে বাজার আরও বেশি প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠবে। বাংলাদেশের রপ্তানিকারক ও চীনা ভোক্তা উভয়ই এতে উপকৃত হবেন এবং দুদেশের বাণিজ্যিক সংযোগ বাড়াতে সহায়তা করবে।’

শুল্কমুক্ত পণ্যের তালিকায় বিদ্যমান ৩০৯৫টি পণ্যের সাথে বাংলাদেশের আরও ৫১৬১টি পণ্য যুক্ত করায় ফলে রপ্তানি করা পণ্যের ৯৭ শতাংশ এ সুবিধা পাবে। যা ১ জুলাই থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে।

চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, সুষ্ঠু নীতির সমন্বয়ের ফলে এবং আমাদের অবকাঠামো সংযোগ সমর্থিত হওয়ার ক্ষেত্রে এটা একটি ভালো উদ্যোগ।

এদিকে, চীনে নতুন করে পাঁচ হাজারের বেশি পণ্য শুল্কমুক্ত প্রবেশের অনুমতি পাওয়ায় বাংলাদেশে এটিকে অর্থনৈতিক কূটনীতির সাফল্য হিসাবে মনে করা হচ্ছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলছেন, আমাদের অর্থনৈতিক কূটনীতির অংশ হিসাবে এবং বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যেকার চিঠি আদান প্রদানের সাফল্য দেখতে পেয়ে আমরা আনন্দিত।’

রাষ্ট্রদূত জিমিং বলেন, এশিয়া ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মতো সংস্থার মধ্যে অংশীদারিত্ব তৈরির মাধ্যমে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে আর্থিক যোগাযোগ ক্রমাগত উন্নত হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.