ফ্রান্সের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কারাদণ্ড

প্রশান্তি আন্তজার্তিক ডেক্স ॥ ভুয়া চাকরির মামলায় ফ্রান্সের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফ্রান্সিস ফিলোন ও তার স্ত্রীকে কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। গত সোমবার (১৯ জুন) প্যারিসের একটি আদালত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, ক্ষমতায় থাকাকালীন স্ত্রী পেনেলোপে ফিলোনকে নিজের সহকারী হিসেবে ভুয়া চাকরি বাবদ সরকারি তহবিল থেকে ৯ লাখ ৩৮ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি প্রায় ৭ কোটি ৯৬ লাখ ৪২ হাজার ৮৫৯ টাকা) বেতন দিয়েছিলেন ফ্রান্সিস ফিলোন।

পেনেলোপে প্রধানমন্ত্রী ফিলোনের সহকারী হিসেবে কাজ না করলেও তাকে এই অর্থ দেয়া হয়। স্ত্রীকে ভুয়া চাকরি বাবদ সরকারি অর্থ তছরুপের মামলায় ফরাসী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে পাঁচ এবং তার স্ত্রী পেনেলোপে ফিলোনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তবে ফ্রান্সিস ফিলোনের সাজা তিন বছর স্থগিত করা হয়েছে।

সরকারি অর্থ কেলেঙ্কারির এই মামলার কারণে ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নিতে পারেননি ফিলোন। ১৯৫৮ সালে পঞ্চম প্রজাতন্ত্র চালু হওয়ার পর দেশটির ইতিহাসে ফ্রান্সিস ফিলোনই সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ রাজনীতিক; যিনি কারাদণ্ডাদেশ পেলেন।

গত সোমবার রায় ঘোষণার সময় প্যারিসের একটি আদালত জানান, কাজের জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফ্রান্সিস ফিলোন তার স্ত্রীকে অনর্থক অর্থ দিয়েছিলেন। তাকে এমন একটি পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল; যার কোনও কাজই ছিল না। গত কয়েক দশক ধরেই ফ্রান্সে রাজনীতি করে আসছেন ফ্রান্সিস ফিলোন। বেশ কয়েকবার এমপি, সিনেটর এবং আরও কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনের পর ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। সেই সময় ফরাসী প্রেসিডেন্ট ছিলেন নিকোলাস সারকোজি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.