প্রশান্তি ডেক্স ॥ সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে ছাগলের ঘরে ঢুকেছিলেন এক বৃদ্ধা। মেঝেতে পড়ে থাকা বস্তা ভেবে বাঘের পিঠে হাত বুলিয়ে দেন তিনি। ঘটনাটি পশ্চিমবঙ্গের আগরাতলি রেঞ্জের কান্ধুলিমারির। রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার রাত ছাগলের ঘরের কাটিয়ে সকালে নিজেই চলে যায়। তবে পিঠে হাত বুলিয়ে দেওয়া বৃদ্ধাকেই কিছুটি করেনি সে। ঘটনা এখানে শেষ নয়। স্থানীয় বন বিভাগ জানায়, বানভাসি কাজিরাঙা থেকে সোমবার বেরিয়ে আসা তিনটা বাঘ তিন দিন ধরে নাজেহাল করছে তাদের। আরেকটি ঘটনা, বান্দরডুবির এক নারী রান্না করতে গিয়ে দেখেন রান্নাঘরে বসে আছে বাঘিনি! এ ছাড়া ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে আশ্রয় নেওয়া মারমুখী আরেকটি বাঘের ভয়ে বন্ধ রাখতে হয় চলাচল। পরে অবশ্য পাহাড়ে চলে যায়। রান্নাঘরে ঢুকে বসে থাকা বাঘিনি উদ্ধারের অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন পশু চিকিৎসক সামসুল আলী। তিনি জানান, গত বুধবার (১৫ জুলাই) বাড়ির সব পরিবারকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আশপাশের মানুষকেও আটকে রাখা হয়। ভাবা হয়েছিল, সকাল হলে বাঘিনি নিজেই চলে যাবে। কিন্তু বেরোনোর কোনো লক্ষণই ছিল না। বাধ্য হয়েই গুলি ছুড়ে ঘুম পাড়িয়ে ওই বাঘিনিকে নিয়ে যাওয়া হয় পশু উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে। উল্লেখ্য, বেড়ে চলা বন্যার কারণে কাজিরাঙায় এখন ১৫৩টি বনশিবির জলমগ্ন। মৃত প্রাণীর সংখ্যা ৬৬টি। অসমে ২৬টি জেলায় বন্যাক্রান্ত ৩৬ লাখ মানুষ। ৬২৯ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ। আনন্দবাজার পত্রিকা
Share on Facebook
Follow on Facebook
Add to Google+
Connect on Linked in
Subscribe by Email
Print This Post