চলতি নৈরাজ্যের নাম হয়েছে করোনা নৈরাজ্য। আর এই নৈরাজ্যের অবসান কি গতানুগতি নাকি লোক দেখানো অথবা চিরতরে নি:শেষ হওয়ার মত। জানিনা এর শেষ কোথায় বা জানতেও চাইনা তবে বিশ্বাস করতে চাই এবং ভরসা রাখতে চাই এমনকি নিশ্চিত হতে চাই যে, এই ধরনের নৈরাজ্যের অবসান হবেই হবে। তবে কখন কিভাবে হবে তা হলো বিবেচ্য বিষয়। সৃষ্টিকর্তা মানুষকে ব্যবহার করেই পৃথিবীর এই নৈরাজ্য নিমূল করবেন। তবে নতুন নতুন নৈরাজ্যের আভির্ভাব হচ্চে এবং হবে কারন শয়তান তার শয়তানি চলমান রাখার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। তবে শয়তানকে যারা সহযোগীতা করেছেন তারা হলেন আমাদের সাহেদ, সাবরিনা, পাপিয়া- স¤্রাটগংরা। তবে যারা এখনো ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছেন তারাই মহারাজা বা শয়তানের সমতুল্য স্থান দখল করে আছেন। তাদের শাস্তি নিশ্চিত হবে কারন শয়তানের শাস্তি অবধারিত ও ঘোষিত। একমাত্র মানুষের শাস্তিতেই রয়েছে ক্ষমার নিশ্চয়তা। তাই আসুন আমরা সকলেই মানুষের মত মানুষ হই। সৃষ্টিকর্তার অভিপ্রায়ের আদলে নিজেদেরকে পুন:গঠন করি। যাতে করে ক্ষমার নিশ্চয়তাটুকু গ্রহন করে চিরস্থায়ী বসবাসের ঘরে শান্তি ও স্থিতিশীলতাটুকু নিশ্চিত করতে পারি।
শয়তানকে পরাজিত করেছেন আল্লাহ তায়ালা এবং তিনি নিজে সকলের পাপের কাফ্ফারা নিজকাঁধে তুলে নিয়ে মানুষকে মুক্ত করেছেন এবং মানুষের কল্যাণের জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। যুগের শেষ সময় এখন কিন্তু শয়তার এই সময়কে বিলম্বিত করতে চাচ্চেন বিভিন্ন কৌশলে। এরই একটি কৌশল হলো করোনা ভীতি। এই ভীতির সৃষ্টি এবং তৎপরবর্তী পরিচর্যাটুকুও করে যাচ্ছেন এই মানুষকেই ব্যবহার করে। মানুষরূপী শয়তানগুলোকে বন্ধী অথবা নির্মূল না করা পর্যন্ত আমাদের (যারা খোদার সঙ্গে যুক্ত হয়ে খোদায়ী কাজের সমাপ্তী টানতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন) নিস্তার নেই। খোদা তাবারুকু তায়ালা বলেছেন যে, তাঁর কাজ শেষ হলেই পৃথিবীতে কিয়ামত নাযেল হবে এবং চিরস্থায়ী ব্যবস্থার কার্যক্রম শুরু করে। তাই খোদার কাজের শেষ যাতে শেষ না হয় সেইদিকেই শয়তানের তেলেসমাতির খেলা এই বিরাজমান নৈরাজ্য। কিন্তু খোদা তায়ালাও তাঁর কাজ ঠিকই করে যাচ্ছেন যাতে সঠিক ও নিরুপিত সময়েই সব শেষ হয়।
এই নৈরাজ্যের অবসানকল্পে যাদেরকে ব্যবহার করছেন তাদেরই একজন হলেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি খোদার অভিপ্রায়েই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু সেই কাজে যারা যুক্ত হয়েছেন তাদের কেউ কেউ মাঝে মাঝে শয়তানের প্রলোভনের ফাদে পা দিয়ে কাজের গতি স্লথ করে দিয়ে নৈরাজ্যের জন্মদিয়ে নেতিবাচকতার একটি জাগরণ দৃশ্যমান রাখেন। কিন্তু সেইখানেই কি শেষ? না শেষ এর গতিপ্রবাহ কিন্তু চলমান এবং এই চলমানতাই একদিন প্রমান করবে কে কে শয়তানের দলের লোক আর কে কে আল্লাহ তায়ালার দলের লোক। আর সেদিনই নিশ্চিত হবে খোদার দলের লোকদের সুখ ভোগের শুরু এবং শয়তানের দলের শস্তিভোগের শুরু। তাই যারা মানুষরূপী শয়তান হিসেবে নিজেদেরকে আড়াল করতে সক্ষম হয়েছি এমনকি বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে শয়তানের সঙ্গে নিজেদেরকে চিরস্থায়ী সম্পৃক্ততায় যুক্ত করেছি ও করতে চাচ্ছি তাদের উদ্দেশ্য বলতে চাই …শয়তানের ভোগ বিলাসী অল্পদিনের জীবনে নেই কোন স্থায়ীত্ব এবং নিশ্চয়তা। শুধু শংকার মধ্যেই আতংকিত অল্পদিনের জীবনের স্বাদ – আহলাদ বাদ দিয়ে চিরস্থায়ী স্বাদ আহলাদ এবং নিশ্চিত সুখের দিকে দৃষ্টি ফিরাই এবং কৃত কর্মের জন্য তৌবা করি।
পাপের গভেষনার ফল আজ বিশ্বকে একা করে রেখেছে- এই পাপটুকুই কি শেষ! না এর শাখা প্রশাখা ও লেজুর এখন সমাজের বিভিন্ন স্তরে শিকড় গজাতে শুরু করেছে। তবে মুলোৎপাটনের কাজটুকু একটু কঠিন হলেও করতে হবে এবং বিশ্বকে দেখাতে ও শেখাতে হবে আমাদের আভিপ্রায় খোদার সঙ্গে যুক্ত এবং খোদায়ী অভিপ্রায়েই আজ আমরা বলিয়ান। শিক্ষায় জুমে, স্বার্থের বিভিন্ন স্তরে, এনবিআরসহ সকল ক্ষেত্রের নিমজ্বি¦তরা এখন কাতরাচ্ছে ও লোকচক্ষুর আড়ালে গিয়ে নিজেদেরকে লুকাচ্ছে, পাশাপাশি অন্যান্য অঙ্গের মাঝেও আজ ঐ করোনা থাবার বিষাক্ততা ছোবল বসিয়েছে যা এখন সকলেরই জানা। তবে ঐ জানাতেই যতেষ্ট নয় বরং এর বিস্তার রোধকল্পে স্ব স্ব অবস্থান থেকে নিড়ানির মতে আগাছা পরিস্কারে মনোনিবেশ করতে হবে। সরকারকে সহযোগীতা করতে হবে এমনকি সরকারের সহযোগীতা নিতেও হবে। তবে কেউ যেন বলির পাঠায় পরিণত না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। সহনশীলতার দৃষ্টান্তগুলো মনযোগ দিয়ে কাজে লাগাতে হবে। ক্ষমতা এবং আইন ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরো সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে যাতে নিরপরাধ কেউ যেন কারো বলির পাঠায় পরিণত না হয়। যেখানে যেখানে আইনেরও পরিবর্তন আনা প্রয়োজন সেখানে তাই করা হউক।
আর নয় একাকিত্ব এবং ঘৃণা ও করোনা ভীতি; এখনই সময় ঐক্যের এবং সাম্যের ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার দৃশ্যমানতার। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, অফিস-আদালত সবখানেই মানুষের সম্মিলন ঘটানো এমনকি মানবতা, ক্ষমা ও ভালবাসার পুন:জাগরন গঠানো সময়ের দাবি। করোনা করোনা করে আর একা বা বন্দি জীবন নয় বরং সরোবরে কলোবরে এবং লোকে লোকারণ্যে ভরপুর হউক সকল আঙ্গিনা। আলিঙ্গনে মুখরিত হউক আমাদের পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা। করোনা বাণিজ্যের অবসান হউক। ঔষধ বাণিজের ক্ষীণ আশাটুকুও যেন হতাশায় পরিণত হয় সেইদিকে মনযোগ দিয়ে বিশ্বভীতিকে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতায় কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করুন। পারিবারিক সম্প্রীতি এবং যৌথ পরিবারের উপকারীতাগুলো সমাজে বিরাজমান থাকুক। মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, পেগুডা থেকে বের হয়ে সৃষ্টিকর্তার সার্বজনীনতাকে অনুসন্ধান করুন। প্রত্যেকের অন্তরে বা হৃদয়ে অবস্থান করা সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে যোগসম্পর্ক স্থাপন করুন। কারো বাণিজ্যের পন্যে আর নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখবেন না। সৃষ্টিকর্তা আপনাকে ভালবাসে এবং আপনার সাথে সরাসরি কথা বলতে চাই এমনকি আপনাকে ব্যবহার করে সৃষ্টির সেবা করতে চাই। আশ্চর্য কাজ আপনাকে ব্যবহার করেই প্রকাশ করতে চাই। সৃষ্টির সমাপ্তীর প্রয়োজনে যাবতীয় কাজও আপনাকে ব্যবহার করেই করতে চাই। তাই এখনই সময় নতুন করে পৃথিবীকে সাজানোর আর এই দায়িত্ব এখন আমার ও আপনার সকলের। সৃষ্টিকর্তা এই বার্তাই আমাদেরকে দিয়ে যাচ্ছে যেন আমরা তাঁর সঙ্গে যুক্ত হয়ে তাঁর দায়িত্বটুকু কাঁধে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাই।
সবাইকে করোনা নৈরাজ্য থেকে মুক্ত করতে আজই কাজে নেমে পড়ুন। নিজেকে পাপমুক্ত করতে সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্যে থাকুন। সৃষ্টিকর্তার পবিত্রতায় নিজেক পবিত্র করুন এবং অন্যকেও পবিত্র করতে সর্বদা নিয়োজিত থাকুন। এই নৈরাজ্য দূর করতে ক্ষমা ও ভালবাসা এবং মোনাজাতের মাধ্যমে অগ্রসর হউন। আল্লাহ আমাদের সকলের সঙ্গে রয়েছেন এবং থাকবেন।