প্রশান্তি ডেক্স ॥ এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয়ে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন মানিকগঞ্জের খাগড়াকুড়ি গ্রামের প্রমোদ চক্রবর্তী। গত বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর তাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে। রানা হোসেন নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে জরিমানা করা হয়। সূত্রে জানা গেছে, এমবিবিএস পদবী ব্যবহার করে প্রমোদ চক্রবর্তী মানিকগঞ্জের সুপার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সিংগাইরের বাস্তা ও সাহরাইল ফার্মেসি, সাভার আধুনিক হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত রোগী দেখতেন। স্থানভেদে তিনি রোগীদের কাছ থেকে ভিজিট নিতেন ৩০০ থেকে ১০০০ টাকা । নিজের হাতেই করতেন অপারেশন। মানিকগঞ্জ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল জানান, দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়ে প্রতারণার শিকার রানা হোসেন নামে এক ব্যক্তি গত ১ জুলাই ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। তদন্ত ও শুনানি শেষে অভিযুক্ত প্রমোদ চক্রবর্তীকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন এর ৪৪ ধারায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ব্যবস্থাপত্রে ব্যবহৃত পদবীর স্বপক্ষে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি প্রমোদ চক্রবর্তী। তিনি কলকাতা থেকে এগার ক্লাস পাস করে অল্টারনেটিভ মেডিসিন বিষয়ে কোর্স করেছেন। কিন্তু বিএমডিসির কোনো রেজিস্ট্রেশন তার নেই। ডা. পদবী, এমবিবিএস (ঢাকা), পিজিটি (সার্জারি), মেডিকেল অফিসার, মা ও শিশু রোগে অভিজ্ঞ ইত্যাদি খেতাব ব্যবহার করে এতদিন তিনি প্রতারণা করে আসছিলেন। ভবিষ্যতে তিনি আর এই ধরনের প্রতারণা করবেন না মর্মে মুচলেকা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস জানান, এমবিবিএস পদবী ব্যবহার করে প্রমোদ চক্রবর্তী সাধারণ রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর তাকে জরিমানা করেছে। সেই সঙ্গে ভোক্তা অধিকার আইন মোতাবেক আরোপিত জরিমানার ২৫% হিসেবে ৫০ হাজার টাকা অভিযোগকারীকে প্রদান করা হয়েছে।
Share on Facebook
Follow on Facebook
Add to Google+
Connect on Linked in
Subscribe by Email
Print This Post