প্রশান্তি ডেক্স ॥ করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা এখন সফল। তার মানে এই নয় আমরা পুরোপুরি বিপদমুক্ত আছি। সরকারি ও পাবলিক ক্লাস্টারে ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা এখনও রয়েই গেছে। সরকার চিন্তাভাবনা করছে এসব স্থানে মাস্ক পরিধান করা বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও কয়েক দিন এটা সামান্য বেড়েছে। তাই সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। এমন যেন না হয় পুনরায় লকডাউন আরোপ করতে হবে। গত সোমবার (২০ জুলাই) স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় জাতীয় সংসদ থেকে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি সম্পর্কে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে এসব কথা বলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী তান শ্রী মহিউদ্দিন ইয়াসিন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, টানা তিন মাস লকডাউনে গৃহবন্দী ছিলাম আমরা। প্রতিদিন সরকারের ক্ষতি ২ বিলিয়ন রিংগিত।সরকারি বেসরকারি সব সেক্টর বন্ধ হয়ে গেছে। ফ্যাক্টরি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে, লোকজনর বেকার হয়ে পড়েছে। অর্থনীতি বড় ধাক্কা খেয়েছে। আবার যদি মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার ফিরিয়ে আনতে হয় তাহলে আমরা বড় ধরনের অর্থনীতির মন্দার কবলে পড়ে জিডিপি কমে যাবে। লোকজন বেকার হয়ে পড়বে। বর্তমানে ৫.৩ শতাংশে বেকারত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা করোনা জয় করেছি বলে এই নয় যে আমাদের সকলকে করোনা স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব, ক্লাস্টার এড়িয়ে চলা, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন, শিশু ও বৃদ্ধদের মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করাসহ নতুন ঘোষিত এসওপি এবং পিকেপিপি মানবো না। আমাদের এসব মেনে চলতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সংক্রমণ রোধে প্রয়োজনে মালয়েশিয়ায় আগতদের আলাদা কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে এবং এটা যেন যথাযথ পালন করা হয়। লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর জরিমানার বিধান করা হবে। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ এশিয়ার আইকন হিসেবে মালয়েশিয়া কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক সফলতা অর্জন করে প্রশংসিত হয়েছে দেশটি। গত এক মাস ধরে সারাদেশে করোনা পজেটিভ রোগীর সংখ্যা ২৪ ঘণ্টায় এক ডিজিটের মধ্যে নেমে এসেছিল। যদিও গত ২ দিন ধরে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
Share on Facebook
Follow on Facebook
Add to Google+
Connect on Linked in
Subscribe by Email
Print This Post