করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই এর বিস্তার রোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশেষজ্ঞরা সবাইকে মাস্ক পরতে আহ্বান জানালেও তাতে পাত্তা দিচ্ছিলেন না ট্রাম্প। এই অবস্থার জন্য তাকে সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পাটির টিকিটে ফের লড়বেন ট্রাম্প। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে মাস্ক পরা, চীন, উত্তর কোরিয়া, বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা বন্ধের সিদ্ধান্ত রোধসহ নানা ইস্যুতে শৈথিল্য দেখাচ্ছেন তিনি। এর মধ্যে ১০ দিন আগে প্রথমবারের মতো মাস্ক পরে সংবাদমাধ্যমের সামনে আসলেও সবাইকে এটা পরতে বলবেন না বলে ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান ট্রাম্প। তার মতে, এতে মানুষের ব্যক্তিস্বাধীনতা খর্ব হতে পারে। উন্নত দেশগুলোতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসলেও যুক্তরাষ্ট্রে প্রকোপ আরও বাড়ছে। গত টানা সাত দিন ৬০ হাজারের বেশি আক্রান্ত দেখেছে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটি। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য মতে যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত-মৃত্যুর সংখ্যাটা আরও বেশি। তাদের হিসেব মতে দেশটিতে শনাক্ত ৩৯ লাখ ৬১ হাজার ছাড়িয়েছে, মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লাখ ৪৩ হাজার। করোনার বিস্তার রোধে তিন মাস আগেই সবাইকে মাস্ক পরার আহ্বান জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ডা. রবার্ট রেডফিল্ড। তিনি বলেছেন, “করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে ও ছড়িয়ে পড়া রোধে মুখ ঢাকা কাপর অন্যতম শক্তিশালী অস্ত্র হতে পারে।”
Share on Facebook
Follow on Facebook
Add to Google+
Connect on Linked in
Subscribe by Email
Print This Post