প্রশান্তি ডেক্স ॥ পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ঈদের ছুটিতে রাজধানী ঢাকা নগরীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গত বুধবার ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পবিত্র ঈদ-উল-আযহার ছুটিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, ডিএমপি ইতোমধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। কোরবানীর পশুর হাট সমূহের ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ ঢাকা মহানগরীর সকল বিপনী বিতান, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান অথবা ব্যক্তির টাকা লেনদেন ও পরিবহনে মানি এস্কর্ট ব্যবস্থা প্রবর্তন, সকল লঞ্চ ও বাস টার্মিনাল কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিগত ঈদ-উল-ফিতরে আইন-শৃংঙ্খলা ও নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে ডিএমপি যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল তা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়। এরই ধারবাহিকতায় পবিত্র ঈদ-উল-আযহার বিস্তারিত নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। ডিএমপির জনবল স্বল্পতা থাকা সত্ত্বেও ঈদের ছুটির সময়ে পুলিশী টহল বৃদ্ধিসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন ও গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই রোধের বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশের গৃহীত পদক্ষেপের পাশাপাশি ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে যদি নিরাপত্তা সচেতনতাবোধ তৈরী হয় তাহলে পুলিশ এবং ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগ ও অংশগ্রহণে সার্বিক আইন-শৃংঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও অপরাধ দমনে অনেক বেশি সফল হওয়া সম্ভব। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে আসন্ন ঈদে রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিপনী বিতান এবং আবাসনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশের গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি নিম্নোক্ত নির্দেশনাসমূহ অনুসরণ করার জন্য নগরবাসীদের প্রতি অনুরোধ জানানো হলো। ঈদের ছুটির সময় নগরীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বাসা-বাড়ি, ভবন,এ্যাপার্টমেন্ট এবং বিপনী বিতানসমূহে নিজস্ব নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সিকিউরিটি গাডের ডিউটি জোরদার করা এবং যে কোন ধরণের অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে দিনরাত ২৪ ঘন্টা নজরদারির ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। মার্কেট মালিক সমিতি অথবা ফ্ল্যাট ওনার্স এ্যাসোসিয়েশন ইত্যাদির তদারকি কমিটি করে দিনরাত পালাক্রমে এসব সিকিউরিটি গার্ডের ডিউটি তদারকি করতে হবে। দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মীদের ব্যক্তিগত প্রাক-পরিচিতি পুলিশের মাধ্যমে যাচাই করার ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অথবা বিপনী বিতান ও আবাসনকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে একসাথে ছুটি প্রদান না করে একটি অংশকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করতে রাখা যাতে পারে। সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও হার্ড ডিস্কে ঠিকমত রেকর্ড হচ্ছে কিনা তা নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখতে হবে। দায়িত্বরত গার্ড এবং প্রতিষ্ঠানের কাছে নিকটস্থ থানা, সংশ্লি থানার অফিসার ইনচার্জ এবং পুলিশ কন্ট্রোলরুমের মোবাইল এবং ল্যান্ড ফোনের নম্বর রাখা, যাতে যে কোন দুর্ঘটনা অথবা অপরাধ সংঘটনের আশংকা তৈরী হলে দ্রুত পুলিশকে জানানো যায়। সূত্র: বাসস