প্রশান্তি ডেক্স ॥ ‘আমরা দেখতাছি, বাজারে গরু আরও ঢুকতাছে। তিনটা গরু আছে, বেচা দিতে পারলে বাড়ি যামু।’কথাগুলো বলছিলেন রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে কোরবানির অস্থায়ী পশুর হাটের গরু বিক্রেতা মো. আমিনুল ইসলাম।
জামালপুরের ইসলামপুর থানা থেকে ১৪টি গরু নিয়ে গত মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) এ হাটে এসেছিলেন আমিনুল। ১১টি গরু বিক্রি হয়েছে, বাকি আছে মাত্র তিনটি।
আমিনুল বলেন, গত বাজার ঠিক ছিল। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাটে ভালোই বেচা-বিক্রি হইছে। কিন্তু রাতে ক্রেতারা দাম কয়, কিন্তু নেয় না। শুক্রবার ভোরেও বাজার একটু ভালো ছিল, কিন্তু বেলা বাড়তে বাড়তে পড়ে যাইতাছে। কারণ বাজারে আরও গরু ঢুকতাছে।
গত শুক্রবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সরেজমিনে দিয়াবাড়ি অস্থায়ী পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এবং ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
এদিকে ক্রেতারা বলছেন, গরুর বেপারিরা দামে ছাড় দিচ্ছেন না। তারা যে দাম চাচ্ছেন, তাতে আমাদের পোষাচ্ছে না। এদিকে সকাল থেকে এ বাজারে অনেক ক্রেতা এসেছেন। গরু খুব চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। আশা করছি, বিকেলে বাজার স্বাভাবিক হতে পারে।
টাঙ্গাইল সদর থেকে ১১টি গরু নিয়ে এ হাটে এসেছেন মনির হোসেন। এখনও তার পাঁচটি গরু রয়ে গেছে। তিনি বলেন, সকালে বাজার ভালো ছিল। কিন্তু এখন খুব খারাপ। গরুর খাবারের খরচও তুলতে পারছি না। গত বছরের তুলনায় এবার গরু অনেক কম বিক্রি হচ্ছে। কারণভাইসারের কারণে অনেকেই কিনতাছে না। বাজার যা দেখা যায়, ভালো না।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে বড় সাইজের গরুতে অনেক লোকসান হচ্ছে। এদিকে ছোট গরুতে তারা কিছুটা লাভের মুখ দেখছেন।
হাটটি ঘুরে দেখা যায়, একের পর এক গরু ভর্তি ট্রাক বাজারে ঢুকছে। এতে হাটে থাকা গরু ব্যবসায়ীরা কিছুটা চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়ছেন। এদিকে ক্রেতারাও বাজার যাচাইয়ে সময় ক্ষেপণ করছেন। তাদের ধারণা, বিকেল নাগাদ বাজার স্বাভাবিক হবে, বিক্রেতারা গরুর দাম কমাবে।