প্রশান্তি ডেক্স ॥ করোনায় আক্রান্ত হয়ে স্ত্রী মারা যাওয়ার দুই মাস পর বাংলাদেশ আ.লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও কেরানীগঞ্জ উপজেলার প্রভাবশালী আ.লীগ নেতা কাজী সুলতান মাহমুদ অন্যের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়েছেন। ওই গৃহবধূ তিন সন্তানের জননী এবং ওই আওয়ামী লীগ নেতা তিন সন্তানের জনক।
পরকীয়ার টানে গত ৯ আগস্ট রাতে জুরাইন কালামিয়ার বাজার এলাকার আনিসুর রহমানের স্ত্রী সায়মা চৌধুরী বিথীকে (৩৫) নিয়ে পালিয়ে যান কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বর এলাকার বাসিন্দা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক উপকমিটির সদস্য কাজী সুলতান মাহমুদ।
স্থানীয়রা জানান, ২০০৪ সালে দোলেশ্বর এলাকার নিয়ামত উল্লাহ চৌধুরীর মেয়ে সায়মা চৌধুরী বিথীর বিয়ে হয় জুরাইন এলাকার আনিসুর রহমানের সঙ্গে। দাম্পত্য জীবনে তাদের এক মেয়ে (১৪) ও দুই ছেলে (১১ ও ২) রয়েছে।
অন্যদিকে কাজী সুলতান মাহমুদ দুই মেয়ে ও এক ছেলের জনক। বয়স আনুমানিক ৫৫ বছর। সায়মা চৌধুরী বিথী ও সুলতান মাহমুদ ধনাঢ্য ও প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য।
ঘটনার দুই দিন পর বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। রাজনীতির পাশাপাশি সুলতান মাহমুদ একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। প্রায় দুই মাস আগে তিনি সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। তবে সুলতান মাহমুদ সুস্থ হলেও তার স্ত্রী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
স্ত্রী মারা যাওয়ার কয়েক মাস আগে সুলতান মাহমুদ এক মেয়ের বিয়ে দেন।
এদিকে স্ত্রী ও তিন সন্তানের চিন্তায় পাগলপ্রায় অনিসুর রহমান সোমবার শ্যামপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
আনিসুর রহমান জানান, তার স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ার পর মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে জানিয়েছে যে- সে সুলতান মাহমুদের সঙ্গে চলে গেছে। যাওয়ার সময় ২ বছর বয়সী ছোট ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে গেছে।