প্রশান্তি ডেক্স ॥ দেশের উন্নয়নে অবকাঠামো ও নির্মাণ প্রকল্পে গুনগতমান নিশ্চিত করতে অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘কোন বাঁধার কাছে নতি স্বীকার করা যাবেনা।’
মন্ত্রণালয়ের নিজ কক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ে কর্মরত প্রকৌশলীদের নিয়ে আয়োজিত এক অনলাইন সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মাঠ পর্যায়ের প্রকৌশলীদের উদ্দেশ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘কাজের গুণগত মান সবসময় নিশ্চিত করতে হবে।নিম্নমানের কাজ এবং অনিয়ম-দুর্নীতি কোনও অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না।’
অনিয়ম-দুর্নীতির সাথে যেই জড়িত থাকুক না কেন তাদেরকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে বলে সতর্ক করেন তাজুল ইসলাম।

মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর-এলজিইডিতে অত্যন্ত বিচক্ষণ মেধাবী যোগ্য প্রকৌশলীরা আছেন যারা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নে অবদান রাখছেন এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ব্যাপক পরিবর্তন হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর মাঠ পর্যায়ে যাবতীয় উন্নয়নমূলক কাজের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ৬৪ টি জেলার নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে মাননিয়ন্ত্রণ ল্যাবরেটরি স্থাপন করেছে। যেখানে উন্নয়ন কাজে ব্যবহৃত নির্মাণসামগ্রীর গুণগত মান পরীক্ষা করা হয়।
তিনি বলেন, ঠিকাদার কাজের জন্য যে সকল নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করবেন সেগুলো টেস্ট করার জন্য এখন আর ঢাকায় আসতে হয় না। সুতরাং ঠিকাদারের কাজের গুণগতমান এখন খুব সহজেই নির্ণয় করা যায়।
তাজুল ইসলাম বলেন, অনেক সময় দেখা যায় সম্পূর্ণ রাস্তায় বক্স একবারে কেটে ফেলে রাখা হয়, এটি করা যাবে না এবং বক্স কেটে বেড ফিলিং করে অবশ্যই রোলার করতে হবে। দেশে পেশাদার ঠিকাদার তৈরি করার উপর গুরুত্বারোপ করে
মন্ত্রী ইসলাম, ঠিকাদারদের নিম্নমানের কাজের জন্য তাদের শাস্তির আওতায় আনতে একটি গাইডলাইন প্রস্তুত করতে সংশ্লিদের নির্দেশ দেন।
গ্রামীন রাস্তাঘাট নির্মাণের সময় যাতে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার না হয় সেজন্য মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে মাঠ পরযায়ের প্রকৌশলীদের নির্দেশ প্রদান করেন তিনি ।
উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ অবশ্যই টেকসই, মানসম্পন্ন ও উৎপাদনশীল হতে হবে জানিয়ে তাজুল ইসলাম, কাজের গতি আনতে প্রত্যেক কাজের জন্য বছরের শুরুতেই একটি ওয়ার্ক প্ল্যান বা কর্মপরিকল্পনা তৈরির উপরও গুরুত্বারোপ করেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী, অতিরিক্ত প্রকৌশলী এবং জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীসহ মাঠ পরযায়ের প্রকৌশলীগণ সভায় অংশ নেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর মাঠ পরযায়ে কাজ সার্বক্ষণিক পরযবেক্ষণ একদিকে যেমন কাজে গতি এনেছে, কাজের গুণগতমান নিশ্চিত হচ্ছে অন্যদিকে কঠোর অবস্থানের কারণে দুর্নীতি ও অনিয়ম বহুলাংশে কমে এসেছে।